জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নাম এখনও চূড়ান্ত না হলেও আপাতত ‘বীরভূম ট্যুরিজম অ্যাপ’ রাখা হয়েছে, পরবর্তীতে এই নাম পরিবর্তন করা হতে পারে। জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বীরভূমের পর্যটন সম্ভাবনাকে সামনে রেখে সেই মোবাইল অ্যাপটি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। এই একটি অ্যাপে জেলার প্রতিটি বিশেষ দর্শনীয় স্থানের নাম, ছবি, এবং সেই স্থানের গুরুত্বের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, যাতায়াতের মাধ্যম, থাকার সুবিধা-সবই এক ক্লিকে মিলবে।
advertisement
এর ফলে বীরভূম ভ্রমণে আগত পর্যটকেরা আগে থেকেই ভ্রমণের যাবতীয় তথ্য জেনে ঠিক ভাবে পরিকল্পনা করতে পারবেন। প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, শান্তিনিকেতন ও তারাপীঠের বাইরে জেলার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গা পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লাভপুরের হাঁসুলি বাঁক, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি ও মন্দির, এর পাশাপাশি দুবরাজপুরের মামাভাগ্নে পাহাড়, হেতমপুর রাজবাড়ি, সুরুল জমিদারবাড়ি, রায়পুর রাজবাড়ি, বৈষ্ণব তীর্থ, বক্রেশ্বর এর গরম জল। এছাড়া রাজনগর ইমামবাড়া, সিউড়ির এএসআই-এর অধীনে থাকা প্রাচীন মন্দির, সাঁইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী তলা, নলহাটেশ্বরী মন্দির, গুহ্যকালী মন্দির, দ্বারবাসিনী মন্দির-সহ আরও কয়েকটি স্থান রয়েছে।
জেলা পর্যটন দফতরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অ্যাপে বিভিন্ন শ্রেণিতে পর্যটন স্থানগুলির নাম নথিভুক্ত করা হবে। যেমন, ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ইত্যাদি। জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বীরভূমে বর্তমানে আনুমানিক প্রায় ৫০টি হোম-স্টে রয়েছে। হোম-স্টে তৈরির সময় প্রশাসনের তরফে প্রত্যেকটিকে ১ লক্ষ টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়েছিল। এই সমস্ত হোমস্টের ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর এবং অগ্রিম বুকিং পদ্ধতি অ্যাপে উল্লেখ থাকবে। যাতে সহজেই নিজের বুকিং করতে পারেন পর্যটকেরা।






