তবে শুধু তথ্য সংগ্রহই নয়। চাঁদের বুকে চতুর্থ এবং দক্ষিণ মেরুতে বিশ্বের প্রথম দেশ ভারত। ফলে ভারতকে চাঁদের বুকে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের অস্তিত্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব পালন করবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের জমিতে ভারতের তেরঙা জাতীয় পতাকা, অশোকস্তম্ভ ও ইসরোর লোগো এঁকে দেবে প্রজ্ঞান।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে চাঁদে ‘মুনওয়াক’ শুরু প্রজ্ঞানের, এল প্রথম ছবি
advertisement
কীভাবে এমন অসাধ্যসাধন করবে প্রজ্ঞান? বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১৪ দিন সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ঘুরবে রোভার প্রজ্ঞান। ইসরোর বিজ্ঞানীরাই প্রজ্ঞানের ছয় চাকা এমন ভাবে তৈরি করেছেন যা চাঁদের বুকে ভারতের স্মারকের ছাপ রেখে আসবে। চাকার মধ্যে খদিত রয়েছে ইসরোর লোগো এবং ভারতের অশোক স্তম্ভ। ফলে যতবার চাঁদের মাটিতে চাকা গড়াচ্ছে, ততবার অশোক স্তম্ভের চিহ্ন রয়ে যাবে সেখানে। তবে মাটি না হয়ে পাথুরে জমি হলে সেই ছাপ হয়তো বসবে না।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের দক্ষিণ মেরু অভিযানে জুড়ে গেল জলপাইগুড়ির নাম, কৌশিক এখন বাংলার নয়নের মণি
ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভার প্রজ্ঞানের একটি চাকায় রয়েছে এই অশোক স্তম্ভ। অন্য আর একটি চাকায় রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর লোগো। বিশ্বের অন্য কোনও দেশ সেখানে গেলে ভারতের চিহ্ন দেখবে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অগ্রগতির নিদর্শন হবে এই চিহ্নগুলি। শুধু অশোক স্তম্ভই নয়, চাঁদের মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা পুঁতে দিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। তার সঙ্গেই রয়েছে সেই পতাকা। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে ফেলেছে চন্দ্রযানের হৃদয় প্রজ্ঞান।