চন্দ্রযান ৩-এর প্রোপালশন মডিউলের আয়ু বেড়েছে বেশ কয়েক বছর। ৬ মাস থেকে বেড়ে আয়ু হয়েছে অন্তত ২-৩ বছর। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘অনেক জ্বালানি বেঁচে গিয়েছে, আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছতে চন্দ্রযানের পথে কোনও আকস্মিকতা আসেনি। সেটা এলে জ্বালানি বেশি লাগে, ফলে বেঁচে গিয়েছে অনেকটা জ্বালানি। প্রায় ১৫০ কেজিরও বেশি।’
advertisement
আরও পড়ুন: যতদিন বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড, ততদিন চাঁদের বুকে ভারত! রোভার প্রজ্ঞান আঁকবে জাতীয় পতাকা, কীভাবে?
প্রোপালশন মডিউলটির উপরেই ল্যান্ডার বিক্রম বসে পৌঁছেছে চাঁদের কাছে। সেখান থেকে হয়েছে দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফট ল্যান্ডিং। গত ১৪ জুলাই ইসরো থেকে মহাকাশযান ছাড়ার সময় তাতে জ্বালানি ছিল ১.৬৯৬.৪ কেজি। এই জ্বালানির জোরেই বহু ভারত্তোলন করে সেগুলি মহাকাশে আলাদা করেছে প্রোপালশন মডিউল। ১৫ জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত চলেছে এই প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে চাঁদে ‘মুনওয়াক’ শুরু প্রজ্ঞানের, এল প্রথম ছবি
চন্দ্রযান ২ অরবিটার ১.৬৯৭ কেজি জ্বালানি নিয়ে উড়েছিল। চন্দ্রযান ৩ থেকে বেশ কিছুটা বেশি। ল্যান্ডারের আলাদা হয়ে যাওয়া এবং সেই অবধি পৌঁছতে বহু কাজে ব্যবহার হয় এই জ্বালানির জোর। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, চন্দ্রযান ৩-এ যে জ্বালানি বেচে গিয়েছে তা আয়ু বাড়িয়েছে তার। ফলে পৃথিবীকে দেখার ও পরীক্ষা করার সময় পাবে চন্দ্রযান ৩। মনে করা হচ্ছে ৬ মাস থেকে বেড়ে আয়ু হয়েছে অন্তত ২ থেকে ৩ বছর।