কেন্দ্রীয় সরকারই এই মেসেজ পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে যে, দেশের এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম কতটা শক্তিশালী, তা যাচাই করে দেখতেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফ্ল্যাশ মেসেজ পাঠানো হয়েছে।
মেসেজে লেখা রয়েছে, “ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে এই নমুনা পরীক্ষার বার্তা পাঠানো হচ্ছে। দয়া করে বার্তাটি উপেক্ষা করুন। কোনও পদক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। এই মেসেজটি ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বানিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- এসি কিনতে চান! আগে দেখে নিন কোন সংস্থা দেবে কেমন সুবিধা
প্যান ইন্ডিয়া এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম পরীক্ষা করা হচ্ছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সময়মতো সতর্কতা প্রদান করাই এই মেসেজের লক্ষ্য।”
জোরালো ‘বিপ’ শব্দের সঙ্গে মোবাইলের মেন স্ক্রিনে পপ-আপ করেছে এই মেসেজ। বার্তাটি লেখা মূলত হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায়। এমন মেসেজ দেখে অনেকেই থতমত খেয়ে যান। কী করা উচিত, বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। তবে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ জানিয়েছে যে, মোবাইল অপারেটর এবং সেলুলার পরিকাঠামো জরুরি সম্প্রচার পরিচালনা করতে কতটা সক্ষম, তা পরীক্ষা করে দেখতেই এই সতর্কতা মেসেজগুলি নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে পাঠানো হবে।
সূত্রের খবর, এই ধরনের মেসেজ ভূমিকম্প, সুনামি, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা জরুরি পরিস্থিতির সময় দেশবাসীকে সতর্ক করার জন্য ভারত সরকার ব্যবহার করবে। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে সবার কাছে একসঙ্গে এমন সতর্ক বার্তা আসবে না। প্রসঙ্গত, গত ১৭ অগাস্ট সরকার এই ধরনের মেসেজ পাঠিয়েছিল। তারপর প্রায় এক মাসের ব্যবধানে ১৫ সেপ্টেম্বর ফের একই বার্তা পাঠানো হল।
অনেক দেশেই জনসাধারণের মোবাইলে এই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠানোর চল রয়েছে। অবশেষে ভারত সরকারও এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। চলতি বছরে উত্তর ভারত-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যার জেরে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন প্রায় সকলেই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এই ধরনের মেসেজ পাঠালে সেই সব অঞ্চলের মানুষ যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আসন্ন ঘটনা সম্পর্কে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।