কিন্তু, এই সকল গাড়িতে প্রায়শই একটি সাধারণ সমস্যা দেখা যায়। গাড়ির সেই সাধারণ সমস্যা হল গিয়ারের। আবার গিয়ারের ফলেই গাড়ির জ্বালানি খরচ নির্ভর করে। সুতরাং গাড়ি চালানোর খরচ অনেকাংশেই নির্ভর করে গিয়ারের উপরে। তাই গাড়ির গিয়ারের সমস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন গিয়ার জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন- জবা ফুলের চায়ে চুমুক দিলেই শরীর থাকবে সুস্থ ও চাঙ্গা! কোথায় পাবেন জানুন
সবাই জানে যে উচ্চ গিয়ারগুলি সর্বোত্তম জ্বালানি দক্ষতা আহরণে সহায়তা করে। তবে একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় এটি অনুসরণ করতে পারেন, কারণ উচ্চ গিয়ার মানে উচ্চ গতি।
শহরগুলিতে, একজন ব্যক্তিকে অনেক কিছুর দিকে নজর দিতে হয় এবং ট্রাফিকের পরিমাণও বেশি হয়, তাই একটি গাড়ি উচ্চ গিয়ারে চালানো যায় না। যদি ব্যক্তি উচ্চ গিয়ারে ধীর গতিতে গাড়ি চালান, তবে ইঞ্জিনটি সমস্যা করতে শুরু করবে যা গাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শহরগুলিতে ব্যবহৃত গিয়ারগুলি ১ম, ২য়, ৩য় এবং কখনও কখনও ৪র্থ হয়৷ কৌশলটি হল গিয়ারগুলির মধ্যে ছন্দ খুঁজে বের করা, যেখানে ইঞ্জিনটি সবচেয়ে মসৃণ মনে করে এবং চাপের মধ্যে থাকে না।
আরও পড়ুন- ছ’বছরেও শেষ হয়নি সেতু তৈরি! উল্টে নির্মীয়মান রাস্তাই গেল ধসে, গাফিলতির অভিযোগ
এই ক্ষেত্রে গাড়ির ড্রাইভারের রেভ রেঞ্জের দিকে নজর দেওয়া উচিত, যেখানে গিয়ার পরিবর্তন করার সময় ইঞ্জিনটি ঝাঁকুনি দেয় না এবং এটি মসৃণভাবে গাড়ি টানে।
১ম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে যখনই গাড়িটি ধীরে ধীরে বা শূন্য থেকে চলতে শুরু করবে। কিছু লোক এই সময় যা করে, তা হল ২য় গিয়ার ব্যবহার করা। তা খুব একটা ভাল উপায় নয়, কারণ এটি ইঞ্জিনে চাপ দেয়।
১ম গিয়ারে সর্বাধিক পরিমাণ টর্ক রয়েছে, যা গাড়িটিকে সহজেই এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যেখানে কিছু ট্রাফিক আছে সেখানে চলাচলের জন্য ২য় গিয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তবুও, গতি এক অঙ্কের উপরেই থাকে।
তৃতীয় গিয়ারটি ব্যবহার করা যেতে পারে, যখন সামনের রাস্তা খোলা থাকে বা গতি ৪০-৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি হয়। তবে এটি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই হার বিভিন্ন গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ গিয়ারের অনুপাতও আলাদা এবং জ্বালানির প্রকারও আলাদা হয়।