দেশ জুড়ে ৪০ হাজার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এবং ৮০ মিলিয়ন ব্যবসায়ীর বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে একাধিক ওয়ার্কশপ চালাবে সিএআইটি এবং মেটা। স্টোরফ্রন্ট ডিজিটাইজ করা, হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ডিজিটাল দোকান’ খোলার মতো জিনিসগুলো শেখানো হবে। পাশাপাশি ক্যাটালগ, কুইক রিপ্লাই, ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাড-এর মতো অ্যাপের বৈশিষ্ট এবং তার ব্যবহারও শেখানো হবে যাতে ডিজিটাল গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সহজে কাজ করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন– ফের উপাচার্যদের বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল, উত্তরবঙ্গে নয়, বৈঠক হবে কলকাতা সংলগ্ন জেলাতেই
ডিজিটাল দুনিয়ায় যাতে মাইক্রো, স্মল এবং একক ব্যবসায়ীরা নিজেদের পরিচয় গড়ে তুলতে পারেন, সে জন্য গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ। নতুন বাজার তৈরি এবং গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে তারা। সিএআইটি এবং মেটা-র অংশীদারিত্ব এটাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটবে যা নতুন যুগের গ্রাহকদের প্রয়োজনগুলো মেটাতে সক্ষম হবে।
কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের ন্যাশনাল সেক্রেটারি প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেছেন, ‘ব্যবসায়িক চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রযুক্তি হাত মেলালে উল্লেখযোগ্য বিকাশ হতে পারে। নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর কাজ এবং সঠিক সরঞ্জাম বেছে নেওয়া জরুরি। ব্যবসা বৃদ্ধির কৌশল শিখতে পারলে সারা ভারতের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ এই কাজটাই সাফল্যের সঙ্গে করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই উদ্যোগ ভারতের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে’।
মেটা-র গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, ‘‘ভারতে এখন উদ্যোক্তাদের যুগ। ডিজিটাল বিপ্লবের সাক্ষী থাকছে গোটা দেশ। ভারতীয় উদ্যোক্তা এবং ছোট ব্যবসায়ীদের বড় অংশ হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। আমরা তাদের সামনে আরও বেশি সুযোগ এনে দিতে চাই।’’