যদিও সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা আবশ্যক। কারণ ছোটখাটো গাফিলতির কারণে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে গাড়ি মেকানিক সাবিদ আলির সঙ্গে বিশেষ আলাপ-আলোচনা করেছে Local 18-এর টিম।
সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার সময় যা যা মনে রাখা দরকার:
সমস্ত নথি পরীক্ষা: সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে তার সমস্ত নথিপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। এর পাশাপাশি গাড়ির সার্ভিস রেকর্ড, রেজিস্ট্রেশন এবং গাড়ির বিমাও দেখে নিতে হবে। আর রেজিস্ট্রেশন ট্রান্সফার হওয়ার পরে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, রেজিস্ট্রেশনটা নতুন মালিকের নাম এসে গিয়েছে। কারণ ধরা যাক, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটটি নতুন মালিকের নামে হয়ে গেল, আর বিমাটি গাড়ির পুরনো মালিকের নামে রয়ে গেল। সেক্ষেত্রে কিন্তু পলিসিটাই বাতিল হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- ISIS-এর নাম করে কোচ গম্ভীরকে খুনের হুমকি! গুজরাত থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক
অতীতের রেকর্ড হাতে রাখা আবশ্যক:
যে কোনও সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার আগে তার সম্পূর্ণ সার্ভিস রেকর্ড দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এর পাশাপাশি গাড়ির প্রযুক্তিগত পরিদর্শন বা টেকনিক্যাল ইনস্পেকশনও করা আবশ্যক। অনেক সময় দেখা যায় যে, বিক্রেতারা মিটারের সঙ্গে কারসাজি করে রাখেন। যার জেরে গ্রাহকরা গাড়ির আসল মাইলেজের বিষয়ে তথ্য পান না। তাই পরবর্তী কালে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তা সারাতে গাড়ির নতুন মালিককে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির বিক্রয়:
গাড়ির মেকানিক সাবিদ আলি বলেন যে, অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটার পর সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে মেরামত করা হয়। তারপর তার উপর নতুন রঙের প্রলেপ লাগিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তাই এই পরিস্থিতিতে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার আগে সেটির উপর নতুন রঙের প্রলেপ চাপানো হয়েছে কি না, সেটাও দেখে নিতে হবে।
আবার গাড়ি বিক্রেতারা গাড়ির ইঞ্জিনকে ভাল রাখেন। এমনকী গ্রাহকদের এর ফিচার প্রসঙ্গেও নানা কথা বলেন। কিন্তু পুরনো গাড়ি কেনার আগে বিশেষজ্ঞ মেকানিককে দিয়ে গাড়িটির ইঞ্জিন ভাল ভাবে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য খরচের ভার থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।