ব্লুটুথ স্পিকার না ওয়াই-ফাই স্পিকার দুটিই ওয়্যারলেস। ভারতের বাজারে উভয় ধরনের স্পিকারের বিভিন্ন মডেল রয়েছে। সমস্ত ওয়্যারলেস স্পিকার সিগন্যাল পাওয়ার জন্য একই ধরনের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন স্পিকারে কী কী ফিচার রয়েছে।
ব্লুটুথ স্পিকারের ফিচার –
advertisement
– ব্লুটুথ স্পিকার কমপ্যাক্ট এবং শুধুমাত্র ব্লুটুথ ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
– ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়৷
– ব্লুটুথ ৪.০-এর জন্য প্রায় ৩০ft/১০m এবং ব্লুটুথ ৫.০-এর জন্য ৮০০ft/২৪০m পর্যন্ত বেতার রেঞ্জ পাওয়া যায়।
– একটি ইন্টারনাল রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকে।
– বহনযোগ্য, স্প্ল্যাশ-প্রুফ এবং ওয়াটারপ্রুফ।
– সমুদ্র সৈকত, হোটেল, পিকনিক, গেট-টুগেদার এবং ছোট ইভেন্ট ইত্যাদির মতো আউটডোর অবস্থানের জন্য আদর্শ।
– ওয়াই-ফাই স্পিকারের চেয়ে বেশি বাজেট-ফ্রেন্ডলি।
আরও পড়ুন: আইফোন চার্জে দিয়ে পাশে ঘুমোচ্ছেন নাকি? সর্বনাশ ডেকে আনছেন! সতর্কতা জারি করল খোদ অ্যাপল
ওয়াই-ফাই স্পিকারের ফিচার –
– অনেক ভাল সাউন্ড কোয়ালিটি।
– গ্রাহকদের কলে বাধা না দিয়ে নিজেদের ফোন থেকে সঙ্গীত, ভিডিও বা শো স্ট্রিম করার অনুমতি দেয় (ব্লুটুথ স্পিকার এই পরিষেবাটি প্রদান করে না)।
– ব্যাটারি চালিত নয়।
– মূলত বাড়িতে বা অফিসে সেট আপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সবসময় বহনযোগ্য হয় না।
– ব্লুটুথের চেয়ে আরও শক্তিশালী সংযোগ এবং শব্দের গুণমান অফার করে, দীর্ঘ পরিসর সহ।
– বেশিরভাগ ওয়াই-ফাই স্পিকার গ্রাহককে ট্র্যাক করতে এবং ভলিউম অ্যাডজাস্ট করতে ভয়েস কমান্ডের অনুমতি দেয়।
– অনেক ওয়াই-ফাই স্পিকারের রেঞ্জে ওয়্যারলেস সাবউফার এবং সাউন্ডবারের পাশাপাশি রেগুলার স্পিকার অন্তর্ভুক্ত থাকে। যা গ্রাহকদের একই সময়ে বিভিন্ন ঘরে সিস্টেম চালাতে দেয়।
ব্লুটুথ প্লাস ওয়াই-ফাই স্পিকারের ফিচার –
– বহনযোগ্য।
– ঘরে এবং বাইরে উভয়ের ব্যবহারের জন্যই উপযুক্ত।
– কম শক্তি খরচ করে।
– ব্লুটুথ স্পিকারের চেয়ে ভাল সাউন্ড কোয়ালিটি।
– ব্লুটুথ স্পিকারের তুলনায় কম বাজেট-ফ্রেন্ডলি।