এই দিন আলাদা আলাদা বিভিন্ন প্রোডাক্টের ওপর সেরা ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। এর জন্য সকল গ্রাহকের নজর থাকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের ওপর। সাধারণত ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের দিন বিভিন্ন স্টোর খুব তাড়াতাড়ি খুলে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে মাঝরাত থেকেই বিভিন্ন ধরনের স্টোর খুলে দেওয়া হয়।। কিন্তু অনেকেই হয় তো জানেন না যে, কেন এই দিনটিকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে বলা হয়ে থাকে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ব্ল্যাক ফ্রাইডের সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
ব্ল্যাক ফ্রাইডে -
ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল আমেরিকাতে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের পরে হয়। যা আমেরিকার বাসিন্দাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ফেস্টিভ সিজন শুরু হতে চলেছে। অর্থাৎ ক্রিসমাস গিফটের জন্য কেনাকাটা শুরু করা যেতে পারে। এই সেলে গ্রাহকদের সেই সকল প্রোডাক্টের ওপর বেশি ছাড় দেওয়া হয়, যা বেশি পরিমাণে বিক্রি হয়। এই ছাড় বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের ওপর বেশি পাওয়া যায়।
ব্ল্যাক ফ্রাইডের ইতিহাস -
ব্ল্যাক ফ্রাইডে নাম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য রয়েছে। অনেকের মতে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে নাম দেওয়ার কারণ হল, এই দিন বিভিন্ন স্টোরে অতিরিক্ত ছাড় পাওয়া যায়, এর ফলে তাদের লোকসান হয় না। আবার অন্য কয়েকজনের মতে ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামটি দিয়েছে ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ।
কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ব্ল্যাক ফ্রাইডের সঙ্গে শপিংয়ের কোনও লেনদেন নেই। ১৯৫০ এর দশকে ফিলাডেলফিয়া পুলিশ থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের পরের দিন বিভিন্ন স্টোরে অরাজকতা বন্ধ করার জন্য ব্ল্যাক ফ্রাইডে শব্দটি ব্যবহার করে। জানা গিয়েছে যে, এই সময় বিশাল সংখ্যক পর্যটক শহরে উপস্থিত হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করে, যা পুলিশের কাছে খুবই সমস্যাাদায়ক ছিল।