জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক বাস্টা (Black Basta) র্যা নসামওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গোপনীয় তথ্য (Confidential Data) চুরি যাওয়ার ভয় রয়েছে। ব্ল্যাক বাস্টা র্যাধনসামওয়্যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব ছোট ছোট জালিয়াতি করে থাকে। কিন্তু কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সংখ্যাটাও এখন পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারে। এক নজরে দেখে নিন এই ব্ল্যাক বাস্টা র্যাধনসামওয়্যারের সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
ব্ল্যাক বাস্টা কী-
ব্ল্যাক বাস্টা (Black Basta) হল এক ধরনের র্যা নসামওয়্যার। এদের কাজ মূলত ব্ল্যাকমেল করা। এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টার্গেট করে থাকে এন্টারপ্রাইজ এবং বিজনেসকে। এর মাধ্যমে কোম্পানির সিস্টেম থেকে চুরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা। কোম্পানির সেই গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরি করার পরে ব্ল্যাক বাস্টা সেই কোম্পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের দাবি করতে শুরু করে। অর্থাৎ কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে সেই তথ্যের বিনিময়ে টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা অথবা তাদের দাবি না মানা হলে সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে ফাঁস করে দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: 'ফ্রেস মুখ চাই বাংলা ছবিতে!' নতুন অভিনেতা, গল্প লেখক খুঁজছেন প্রযোজক জিৎ!
বিভিন্ন সংস্থার তথ্য এবং নাম ফাঁস করে দেওয়ার বিষয়ে এই Black Basta-র বেশ নামডাক রয়েছে। ব্ল্যাক বাস্টা তার সাইটে ব্লগ অথবা বাস্টা নিউজের মাধ্যমে তাদের টার্গেটের নাম প্রকাশ করে দেয়। আবার যে সব কোম্পানি তাদের ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয় অর্থমূল্য দিতে বাধ্য হয় তাদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। যারা অর্থমূল্য চোকায়নি, তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের কিছুটা অংশ প্রকাশ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সেই তালিকার মাধ্যমেই জানা যায় কারা তাদের সঙ্গে আপস করে তাদের দাবি মানতে রাজি হয়েছে।
ব্ল্যাক বাস্টা যে ভাবে অ্যাটাক করে থাকে -
ব্ল্যাক বাস্টা-র মাধ্যমে ডিভাইসে হানা দিয়ে থাকে র্যা নসামওয়্যার। এরপরই সেই ডিভাইসের ওয়ালপেপার পরিবর্তন হয়ে যায় এবং মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয় আপনার ডিভাইস এনক্রিপ্টেড হয়েছে ব্লাক বাস্টা দ্বারা। এরপরই ব্ল্যাক বাস্টা দখল নেয় সেই ডিভাইসের এবং সব ফাইলের নাম সেই নামের হয়ে যায়।