সমস্যাটা কেবল যাঁদের পথে বেরোতে হয়, তাঁদের। সে গাড়ি থাকুক আর না-ই থাকুক। গাড়ি না থাকলে জামা-জুতোর ভোগান্তি। গাড়ি থাকলে সেগুলো বাঁচে, পথে যেতে যেতে মন ভরায় বৃষ্টির অনাবিল রূপ।
সেটা নিয়েই এই প্রতিবেদন। জলেভেজা পথে বেরোলে গাড়ি বাইরে থেকে ভিতরে অনেক সমস্যার মধ্যেই পড়ে। সেটাই স্বাভাবিক নিয়ম। আকাশ থেকে জল পড়বে গায়ে, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে কাদাজল ছিটিয়ে যাবে আরেকটা গাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন- আবার ভোল বদল হোয়াটসঅ্যাপের, বদলে যাবে লুক, নতুন কী যোগ হচ্ছে এবারে?
প্যাচপেচে কাদা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে নেবে গাড়ির চাকায়। জমা জল ঠেলে যেতে হলে তো কথাই নেই, ইঞ্জিনের হাল বেহাল হবে।
এত কিছুর পরে যখন আকাশ মেঘমুক্ত হবে, গাড়ি কিন্তু হাঁপিয়ে পড়বে। অতএব, কীভাবে তার যত্ন করতে হবে বর্ষা পরবর্তী মরশুমে, কীভাবে তাকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে, তা এবার দেখে নেওয়া যাক এক এক করে।
জমা ধুলো সাফ করা
গাড়ির গায়ে ধুলো জমে সারা বছরেই, এখনও জমবে। অতএব, ছাদ থেকে চাকা পর্যন্ত ভাল করে সাফাই না করলেই নয়।
যত্ন করে ধোয়া
শুধু ধুলো হলে একরকম ছিল, বর্ষার দিন তো কাদা আর তার ছিটের আলপনা যেন এঁকে দেবে গাড়ির সর্বত্র। অতএব, নরম কোনও ডিটারজেন্ট বা তরল সাবান দিয়ে গাড়ি ভাল করে ধুতে হবে।
মরচে তোলা
বর্ষার জলে ভিজে ভিজে গাড়ির নানা জায়গায় মরচে পড়বেই, উপরের দুটো কাজ নিজে করা গেলেও এটা করতে না যাওয়াই ভাল, গ্যারাজে নিয়ে গিয়ে ভাল করে গাড়ির মরচে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন- শান্তিতে ঘুমোচ্ছে ল্যান্ডার বিক্রম, চন্দ্রযান মিশন নিয়ে মুখ খুললেন ইসরোর প্রধান
চাকার পিছনে টাকা
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জমা জলে ডুবে থাকা কখন কী ঘষা খেয়ে চাকার অবস্থা খারাপ করবে, কেউ জানে না। অতএব, চাকা সামান্যতম এবড়োখেবড়ো হলেও তা বদলে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ইন্টিরিয়র সাফাই
ব্রেক প্যাডেল থেকে শুরু করে ফ্লোর ম্যাট, এগুলোরও খেয়াল রাখা দরকার। জলে ভেজা জুতো পরে গাড়িতে বসে থাকা, তার একটা প্রভাব তো পড়বেই। ফলে, এগুলোও পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার।