ব্যাপারটা আর কিছুই নয়, সহজ ভাবে বললে ফোন খোয়া গেলেও তা যাতে কেউ অ্যাক্সেস করতে না পারে, সেই প্রযুক্তি। বলা হয়েছে যে ফোন যখন তার পরিচিত জায়গায় থাকবে না, অর্থাৎ ইউজারের বাড়ি বা কর্মস্থলে, তখন তার কিছু সেটিংসে বদল আসবে। এবার কোনও দুষ্কৃতী যদি খোয়া যাওয়া সেই ফোন অ্যাক্সেস করতে চায়, সবার আগে তাকে ফেস আইডি বা টাচ আইডি দিতে হবে। বলাই বাহুল্য, ফোন অ্যাক্সেস করার কাজ এখানেই অর্ধেক জটিল করে দিচ্ছে Stolen Device Protection।
advertisement
আরও পড়ুনNum lock Button: দিনরাত কম্পিউটার ব্যবহার করছেন, Num Lock কোন কাজে লাগে জানেন?
শুধু তাই নয়, Safari-তে সংরক্ষিত পাসওয়ার্ড বা অর্থপ্রদানের তথ্য অ্যাক্সেস করা, লস্ট মোড বন্ধ করা, ডিভাইসটির সেটিংস মুছে ফেলা, একটি নতুন Apple ডিভাইস সেট আপ করতে ফোন ব্যবহার করা, একটি নতুন Apple কার্ডের জন্য আবেদন করা, Apple কার্ড নম্বর দেখা, অ্যাপল ক্যাশ দিয়ে টাকা ট্রানজাকশন ইত্যাদি কাজের জন্যও অতিরিক্ত যাচাইকরণের প্রয়োজন হবে।
রয়েছে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তরও। ফোন যদি পরিচিত জায়গায় না থাকে, তাহলে বায়োমেট্রিক দিয়ে আনলক করার পরেও একটা সিকিউরিটি ডিলে প্রয়োগ হবে। এক ঘণ্টা কেটে গেলে আবার ফোন খুলতে দরকার হবে বায়োমেট্রিকের।
ফলে, এই সিকিউরিটি ডিলে আইডি বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট করা, সিকিউরিটি সেটিংসে বদল, ফেস আইডি/টাচ আইডি টার্ন অফ করা, পাসকোড পরিবর্তন করা, সেটিংস রিসেট করা, ফাইন্ড মাই টার্ন অফ করা, Stolen Device Protection ডিজেবল করা- এই সমস্ত কাজে এই বিলম্ব দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে পারে।
Stolen Device Protection টার্ন অন করতে ফোনে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন রাখতে হবে, সেই সঙ্গে থাকতে হবে এগুলোও:
– ডিভাইস পাসকোড
– ফেস আইডি বা টাচ আইডি
– ফাইন্ড মাই
– লোকেশন সার্ভিস
এবার সেটিংসে গিয়ে ফেস আইডি এবং পাসকোডে ট্যাপ করতে হবে।
ডিভাইসের পাসকোড এন্টার করতে হবে।
Stolen Device Protection টগল অন করতে হবে।