মডেল বেছে নেওয়ার বিস্তৃত পরিসর, iPhone 12 লাইন-আপের নয়া লুক Apple-কে পৌঁছে দিয়েছে চাহিদার শীর্ষে। খবর বলছে যে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বিশেষ করে চিনে এই ফোনের চাহিদা রয়েছে সব চেয়ে বেশি। পরিসংখ্যান মোতাবেকে এই চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৯০.১ মিলিয়ন ফোন শিপ করেছে সংস্থা, যা যে কোনও সংস্থার পক্ষেই একটি বড়সড় চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে, বিশ্ববাজারের ২৩.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে Apple-এর কাছে।
advertisement
খবর আরও বলছে যে শুধুমাত্র বুধবারেই সংস্থার বিক্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। এই ঘটনা সংস্থার পক্ষে এ প্রথম ঘটতে দেখা গিয়েছে। কেন না, বৃহত্তর চিন, হংকং এবং তাইওয়ানে ফোনের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি বেড়েছে ৫৭ শতাংশ।
সঙ্গত কারণেই মন্তব্য করেছেন Apple-এর চিফ একজিকিউটিভ টিম কুক (Tim Cook)- চিনের শহরাঞ্চলে যে সব ফোন এই চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বিক্রি হয়েছে, তার প্রথম তিনটির মধ্যে দু'টিই এই সংস্থার! অন্য দিকে ক্যানালিসের চাইনিজ স্মার্টফোন মার্কেট বিশেষজ্ঞ নিকোল পেংও কুকের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি একটি বাড়তি তথ্য যোগ করেছেন তিনি সংস্থার এই সাফল্যের পিছনে। জানিয়েছেন যে Apple একা নয়, চিনে একই সঙ্গে Huawei-র মোবাইল ফোনের চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে পাল্লা রেখে এই সংস্থা যোগান বৃদ্ধি করতে পারেনি। ফলে এক নম্বরের জায়গা চলে গিয়েছে Apple-এর হাতে।
খবর মোতাবেকে, শুধু Huawei নয়, Samsung আর Xiaomi-র বিক্রিকেও টেক্কা দিয়েছে Apple। তবে যদি সব দিক থেকে বিচার করতে হয়, তাহলে Huawei-র পতন রীতিমতো বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও যে সংস্থা বিক্রির দিক থেকে দুই নম্বরে ছিল, তারা এখন নেমে এসেছে পাঁচে- এই সুবিশাল পতন সংস্থার ক্ষেত্রে এই প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়া তালিকায় সব চেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফোনের মধ্যে Xiaomi-র নাম উঠে এসেছে তিন নম্বরে।