একই কথা খেটে যায় iPhone আর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রেও। iPhone কিনতে না পারার দীর্ঘশ্বাস পড়েনি, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তার জন্য আবার কত না কাণ্ড, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচে iPhone কেনার টাকা জোগাড় করার গল্পও তো উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডায় জল গরম করতে সস্তায় দারুন কাজের হিটিং রড, শুধু এই ৩ ভুল না করলেই হল
advertisement
তবে, iPhone-এর চেয়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ন্যূন কিছু নয়। বরং, এও বলা যায় যে অনেক দিক থেকেই সেরা, অ্যান্ড্রয়েডই হওয়া উচিত সবার প্রথম পছন্দ। কেন, সেই কারণগুলো দেখে নেওয়া যাক এক এক করে।
কাস্টমাইজেশন: অ্যান্ড্রয়েড ফোন আইফোনের চেয়ে বেশি কাস্টমাইজেশন অফার করে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তাঁদের হোম স্ক্রিনকে পার্সোনালাইজ করতে, কাস্টম লঞ্চার ইনস্টল করতে এবং এমনকি থিমগুলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন৷ একইভাবে, এতে থার্ড পার্টি অ্যাপের অ্যাক্সেসও পাওয়া যায়।
হার্ডওয়্যারের বৈচিত্র্য: অনেক কোম্পানিই অ্যান্ড্রয়েড ফোন তৈরি করে। এমন পরিস্থিতিতে ডিজাইন, ফিচার এবং দাম সংক্রান্ত অনেক অপশন থাকে আমাদের কাছে। গ্রাহকদের কাছে তাঁদের পছন্দ এবং বাজেট অনুযায়ী একটি ভাল ফোন বেছে নেওয়ার বিকল্প রয়েছে।
এক্সপ্যান্ডেবল মেমোরি: মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মেমোরি বাড়ানো যায়, এই সুবিধার কথাও মাথায় না রাখলেই নয়।
ডিফল্ট অ্যাপস: অ্যান্ড্রয়েডে ইউজাররা ওয়েব ব্রাউজিং, ই-মেল এবং মেসেজিংয়ের মতো অনেক ফাংশনের জন্য তাঁদের পছন্দের ডিফল্ট অ্যাপ সেট করতে পারেনন। এই সুবিধা iOS ইকোসিস্টেমে উপলব্ধ নয়। একইভাবে, অ্যান্ড্রয়েডে অনেক পরিষেবা এবং অ্যাপ বিনামূল্যে পাওয়া যায়, অন্য দিকে, তার জন্য iPhone ব্যবহারকারীদের আলাদা করে পয়সা গুনতে হয়।
গুগল ইন্টিগ্রেশন: অ্যান্ড্রয়েড Google পরিষেবা এবং অ্যাপের সঙ্গে মসৃণ ভাবে কাজ করে। যাঁরা গুগলের ইকোসিস্টেমের উপর খুব বেশি নির্ভরশীল, তাঁরা একটি চেনা সমন্বিত অভিজ্ঞতা পান।
মাল্টিটাস্কিং: অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় ভাল মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষমতা রয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ চালাতে পারেন। এছাড়াও, অনেক ডিভাইসে স্প্লিট স্ক্রিন ফাংশনও দেওয়া হয়।
দামের সুবিধা: অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দামের রেঞ্জ বেশ বড়। এমন পরিস্থিতিতে, খুব কম দামে ফোন কিনতে চান এমন গ্রাহকদেরও প্রচুর বিকল্প রয়েছে। অনেক সময় মানুষ বিভিন্ন কাজে একাধিক ফোন রাখেন। সেক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েডই সেরা পছন্দ। এমনকি সস্তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও উপরে উল্লিখিত সুবিধার অনেকগুলোই পাওয়া যায়।