মোবাইলে গুড মর্নিং-গুড নাইটের মতো অজস্র মেসেজের মতোই ছড়িয়ে পড়ে হোয়াটঅ্যাপে আড়ি পাতার খবর। জানা যায়, সুদূর ইজরায়েলের NSO নামে এক সংস্থা এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে মিসড কল দিয়েই চুরি করে নিচ্ছে মোবাইলের কল ডিটেলস, ছবি-ভিডিও-প্রায় সবকিছু। আড়ি পাতার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হোয়াটসঅ্যাপকে সমন পাঠায় মোদি সরকার। কিন্তু সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা মে মাসেই এবিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রকে।
advertisement
এবার এক সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকেই মিলল সতর্কবার্তার প্রমাণ। ‘ইন্ডিয়ান কমপিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন একটি সংস্থা। তাদের ওয়েবপেজ থেকেই জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের সতেরোই মে হোয়াটসঅ্যাপে আড়ি পাতা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর নম্বরে ভয়েস কল করে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। মোবাইলের কল-লগ, মেসেজ, ছবি-সবই অজান্তে চুরি যেতে পারে। হ্যাকিং রুখতে, হোয়াটসঅ্যাপ আপগ্রেড করারও পরামর্শ দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান কমপিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’।
ইন্ডিয়ান কমপিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের সতর্কবার্তা নিয়ে মুখ না খুললেও, হোয়াটসঅ্যাপের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের দাবি, গত মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপের সতর্কতা, প্রযুক্তিগত কচকচানির বেশি কিছু নয়। কারণ ইজরায়েলি NSO বা পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে কিছুই জানায়নি মেসেজিং অ্যাপটি।
কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল? কতটা সুরক্ষিত হোয়াটসঅ্যাপ? সত্যিই বেহাল হচ্ছে গোপন তথ্য? ধোঁয়াশায় দেশের প্রায় ৪০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার।