এর জন্য আইআইটি মাদ্রাজকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। তিনি যোগ করেছেন, “আইআইটি মাদ্রাজ বিশ্বের অন্যতম রোমাঞ্চকর এবং সক্রিয় ইনকিউবেটর হয়ে উঠেছে।
ভারত জুড়ে উচ্চাভিলাষী ইনকিউবেটরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য ওঁদের ধন্যবাদ। আমাদের আর এমন দেশ হিসেবে দেখা যায় না যেখানে প্রকৃত উদ্ভাবকের অভাব রয়েছে”। সঙ্গে এও লিখেছেন, “দুঃসাহসী আকাঙ্খা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ, যার কোনও সীমা নেই”।
advertisement
আরও পড়ুন- অফিসে এসি আছে, বাড়িতে নেই! শরীরের যে ৫টি ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে, সাবধান!
এপ্রিলের শুরুতে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, শহরে যানজটের সমস্যা দূর করতে চেন্নাই ভিত্তিক একটি স্টার্টআপ ই-প্লেন কোম্পানি উড়ন্ত বৈদ্যুতিক ট্যাক্সির প্রোটোটাইপ তৈরি করছে।
আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই দেখা যাবে। আইআইটি মাদ্রাজে বাণিজ্যিক ড্রোনও তৈরি করছে তারা। যেগুলো ২ থেকে ৬ কিলোগ্রাম পর্যন্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম। এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এ কথা জানিয়েছেন।
ইপ্লেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সত্য চক্রবর্তী পিটিআইকে জানিয়েছেন, তাঁরা তিন থেকে চার আসনের eVTOL বিমান তৈরি করছেন। যা উড়ন্ত ট্যাক্সি বা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
তাঁর কথায়, “আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আমরা প্রোটোটাইপ তৈরি করে ফেলব বলে আশা করছি। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) থেকে শংসাপত্র পেতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে”।
আরও পড়ুন- ২০, ২১, ২২…! এসি কত তাপমাত্রায় চালালে শরীর সুস্থ থাকে? জানিয়ে দিল সরকার
স্টার্টআপ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চার চাকা গাড়িতে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে ৬০ মিনিট সময় লাগে, ইপ্লেনে সেই দূরত্ব যেতে সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট। কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য হল eVTOL ব্যবহার করে শহরাঞ্চলে যানজট দূর করা।
জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং মুম্বইয়ের মতো শহরে এয়ার ট্যাক্সি চালানো হবে। পাইলটসহ পাঁচজনকে নিয়ে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারবে। মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে ২ থেকে ৩ ঘন্টার দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে অনায়াসে। সংস্থাটি চার্টার, লজিস্টিক, মেডিকেল ইমার্জেন্সি ইত্যাদির জন্যও এয়ার ট্যাক্সি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।