এর জন্য মুহূর্তের মধ্যে যে কোনও ছবি ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগছে না। এআই ব্যবহার করে যে কারও ছবি ফেক করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রেখা থেকে লতা মঙ্গেশকর, ই্টারনেট ছেয়ে যাচ্ছে এই সব ছবিতে। এর ফলে ইউজারদের সুরক্ষার বিষয়ে বড়সড় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু, এই ধরনের এআই জেনারেটেড ফেক ইমেজ খুব সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব।
advertisement
এআই জেনারেটেড ফেক ইমেজের মাধ্যমে ভুল তথ্য, ডিপফেক এবং ম্যানিপুলেটেড ইমেজের ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে আমজনতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে এই ধরনের ক্রাইম পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। তাই ইউজারদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজন। কোনও প্রলোভনে পা না দিয়ে বা এই ধরনের ফাঁদে না পড়ে সরাসরি নিজেদেরই যাচাই করে নেওয়া উচিত সেই ছবি ফেক না আসল। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়।
রিভার্স ইমেজ সার্চ –
একটি ছবির সত্যতা সনাক্ত করার প্রথম ধাপ হল রিভার্স ইমেজ সার্চ। রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে টেক্সটের পরিবর্তে একটি প্রশ্ন হিসাবে ছবি ব্যবহার করা হয়। এটি স্মার্টফোনে গুগল লেন্স অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ব্রাউজারের মাধ্যমেও করা যেতে পারে। ‘ইয়ানডেক্স’ সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে একই কাজ করা যেতে পারে। রিভার্স ইমেজ সার্চ বলে দেয় যে, ছবিটি আগে অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা অন্য কোথাও ব্যবহার করা হয়েছিল কি না। এটি সেই প্রেক্ষাপটকে স্পষ্ট করে যেখানে ছবিটি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং শেয়ার করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: এবার স্মার্টফোন জলের দরে! Flipkart-এ দারুণ সেল, পুজোর আগেই নতুন ফোন কিনে ফেলুন কম দামে
যদি রিভার্স ইমেজ সার্চ কোনও ফলাফল না দেয়, তাহলে Google সার্চ ইঞ্জিনে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ছবির বর্ণনা করা প্রয়োজন এবং এটি একটি ক্যোয়ারি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি ছবিটিতে একটি বিড়াল দেখায়, ছবিতে বিড়ালটি কী করছে তার বর্ণনা করতে হবে।
এআই ইমেজ ডিটেক্টর –
যদি কারও সন্দেহ হয় যে, ছবিটি AI ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, তাহলে AI ইমেজ ডিটেক্টর যেমন – Hive Moderation, Optic AI or Not এবং Maybe’s AI Art Detector ব্যবহার করা উচিত, এতে সহজে কাজ হবে।
