তবে এসি কেনার সময় মাথায় অবশ্যই রাখতে হবে বিটিইউ-এর কথা। বিটিইউ বা ব্রিটিশ থার্মার ইউনিট এমন একক যা একটি AC-র শীতল করার ক্ষমতা পরিমাপ করে। এটি কোনও এলাকাকে এক ঘণ্টায় ঠান্ডা করতে কতটা শক্তির ব্যবহার হচ্ছে তার পরিমাণ নির্দেশ করে।
তবে বিটিইউ খুব ছোট একক যা হাজারে পরিমাপ করা হয়। তাই এয়ার কন্ডিশনারের ‘কুলিং ক্যাপাসিটি’ পরিমাপের বড় এক হিসেবে টন ব্যবহৃত হয়। এক টন ‘কুলিং’ প্রায় ১২০০০ বিটিইউ-এর সমতুল।
advertisement
আরও পড়ুন: চলতে চলতে ফ্যানের স্পিড কমে গিয়েছে? নতুন এর মতো ঝড়ের গতির জন্য করুন এই কাজ
কোন ঘরের জন্য কেমন এসি:
এসি-র জন্য প্রতি বর্গফুটে ২০ বিটিইউ প্রয়োজন। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ঘরের উচ্চতা। ফলে বিটিইউ গণনার সহজ সূত্র হল ২০ বিটিইউ x ১ বর্গফুট। ধরা যাক ৮ ফুট উচ্চতা-সহ একটি ৬০০ বর্গফুট ঘর, সেটি ঠান্ডা করতে ১২০০০ বিটিইউ লাগবে। তবে সেই ঘরের স্থানিক আবহাওয়া কেমন সেটাও একটা বড় বিষয়। একই এলাকায় ৮০০ বর্গফুটের একটি দুই-ঘরের অ্যাপার্টমেন্ট ঠান্ডা করতে ১৬০০০ বিটিইউ লাগবে। ১২০০ বর্গফুট ঘরের জন্য লাগবে ২৪০০০ বিটিইউ।
আরও পড়ুন - দেওয়াল থেকে কতটা দূরে রাখতে হয় ফ্রিজ? ৯৯% মানুষ সঠিক তথ্য জানেন না
বিটিইউ কম-বেশি হলে কী হবে?
বিটিইউ কম হলে সব সময় এয়ার কন্ডিশনারটি তার সর্বোচ্চ শক্তিতে ক্রমাগত চলবে। কিন্তু তাও কাঙ্ক্ষিত আরামের মিলবে না।
আবার অতি উচ্চ মাত্রার বিটিইউ-যুক্ত এয়ারকন্ডিশনারও সব ক্ষেত্রে ভাল নয়। সেক্ষেত্রে ঘর খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে আর এসি তার সাইকেল বন্ধ করে দেবে। তখন আবার এসি চালাতে হবে। এতে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে।
অন্য বিচার্য বিষয়:
কোনও ঘরের জানলার সংখ্যা, আকার এবং সূর্যের আলো কতটা ঢোকে তার উপর ভিত্তি করে এসি কিনতে হবে। খোলা মেলা, প্রাকৃতিক আলোহাওয়ার পূর্ণ ঘরের জন্য বেশি শক্তিশালী এসির প্রয়োজন।
ঘরের অবস্থানও জরুরি। সাধারণত পূর্বমুখী বাড়ি সকালের দিকে বেশি সূর্যালোক পায়। পশ্চিমমুখী বাড়ি বিকেলের পর।
আপেক্ষিক আদ্রতাও বড় বিষয়। আর্দ্র পরিবেশে ‘ড্রাই মোড ফাংশন’ ফিচার-সহ এসি কিনতে হবে।
নিরোধক। একটি বিল্ডিং এর নিরোধক এয়ার কন্ডিশনার এবং গরম করার কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি সঠিকভাবে উত্তাপযুক্ত ঘর ঠাণ্ডা বাতাসকে অব্যাহতি থেকে রক্ষা করবে এবং তাপকে বাইরে রাখবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে, আপনার দরজা এবং জানালাগুলি পরীক্ষা করে দেখুন যে কোনও ফাঁক রয়েছে যা শীতল বাতাস বের হতে পারে।
ঘরের ভিতরের ঠান্ডা হাওয়া যাতে বেরিয়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।