খবর বলছে যে এ হেন ইরভান ৫ বছর বয়সে চুরি হয়ে যান! জানা গিয়েছে যে সেই অভিশপ্ত দিনটিতে তিনি পাড়ার ভিডিও গেমের দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন পায়ে হেঁটে। এমন সময়ে রাস্তায় খেলা-দেখানো এক লোক তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেবে বলে লিফট দিতে চায়। বাকিটা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়! ছোট্ট ইরভান গাড়িতে উঠলে তা তাকে নিয়ে চলে যায় অন্য গন্তব্যে!
advertisement
ইরভান জানিয়েছেন যে এর পরের জীবন ছিল স্বাভাবিক ভাবেই দুঃসহ। অত্যাচার, ঠিক মতো না খেতে পাওয়ার সঙ্গেই চলেছিল রাস্তায় খেলা দেখানোর তালিম। ওই পারফর্ম্যারের সঙ্গেই ভবঘুরে জীবন কাটতে থাকে তাঁর পথে পথে খেলা দেখিয়ে!
এক দিন সামান্য হলেও এক চিলতে আলো এসে পড়ে ইরভানের মেঘলা জীবনে। পুলিশের তাড়া খেয়ে চম্পট দেয় ওই পথে খেলা-দেখানো লোকটা! তার পর ইরভানের ঠাঁই হয় এক অনাথ আশ্রমে। সেখানে বয়স বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে শিক্ষা আর জ্ঞানগম্যিও।
খবর মোতাবেকে, ওই অনাথ আশ্রমে রাখা কমপিউটার থেকেই Google Map ব্যবহার করতে শেখেন ইরভান। একদিন তাঁর আচমকাই গংগ্যাং নামে এক বাজারের নাম দিয়ে জায়গাটা খোজার ইচ্ছে জাগে মনে। আবছা ভাবে হলেও তাঁর স্মৃতি বলছিল- হয় তো এটাই সেই বাজার যেখানে তিনি ঠাকুমার সঙ্গে আসতেন!
দেখা যায় যে Google Map সত্যিই ওই নামের এক বাজারের লোকেশন বের করে ফেলেছে। এর পর অনাথ আশ্রমের লোকেরা ওই বাজারের দোকানদারদের ইরভানের কথা জানিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। এক দোকানদার জবাবে এক পরিবারের ছবি পাঠান যাঁদের ছেলে ৫ বছর বয়সে হারিয়ে গিয়েছিল!
সেই ছবি দেখে ইরভান তাঁর পরিবারকে চিনতে পারেন। বাকিটা মধুরেণ সমাপয়েৎ- ছেলে ফিরে এসেছেন পরিবারে!
জানা গিয়েছে, ইরভানের বাবা সুপারনো বার বার সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েও ক্ষান্ত হচ্ছেন না! সত্যিই তো, ১১ বছর কেটে যাওয়ার পরে তিনি যখন ছেলের ফিরে আসার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন, তখন ঘটনা কি নেহাতই আশ্চর্য নয়? আপনি কী বলেন?