সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে পার্সোনাল কম্পিউটার বা কনসোলার গেমারদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ১২ শতাংশ ভারতীয় কনসোলে গেম খেলেন। অন্য দিকে ৬৭ শতাংশ কোনও স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে গেম খেলেন। এ ক্ষেত্রে গেমিং পপুলেশনের ৮২ শতাংশ এক সপ্তাহে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁদের স্মার্টফোনে গেম খেলেন। শুধুমাত্র ১৬ শতাংশ হেভি গেমারস। অর্থাৎ সপ্তাহে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় গেম খেলেন এঁরা। এ বিষয়ে YouGov-এর ই-গেমিং ও ই-স্পোর্টস জানাচ্ছে, ভারতে এই অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত বেড়ে চলেছে। এর বাজারও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে অ্যাক্টিভ গেমার কমিউনিটি, অনলাইন গেমিং, ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রি।
advertisement
ভারতে গেমারদের সংখ্যার নিরিখে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পরিমাণ যথাক্রমে ৭১ শতাংশ ও ৭২ শতাংশ। তবে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির থেকে আনুপাতিক হারে এই দেশগুলির গেমারের সংখ্যা কম। এ ক্ষেত্রে, কনসোল গেমারদের বড় ও প্রধান বাজারগুলি হল হংকং (৩২ শতাংশ), স্পেন (২৯ শতাংশ), আমেরিকা (২৮ শতাংশ), ব্রিটেন (২৮ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (২৭ শতাংশ)।
টেকএক্সপার্টরা জানাচ্ছেন, গেম খেলা ছাড়াও গেমারদের একটি বড়সড় বিনোদনের জায়গা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এই গেমারদের একটি নির্দিষ্ট অংশ অনলাইনে ভিডিও গেম দেখতেও বেশ পছন্দ করেন। সেই সূত্রেই এখন YouTube Gaming-র রমরমা। বলা বাহুল্য, বাজারের অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে গেমারদের মধ্যে এখন সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয় YouTube Gaming। তথ্য বলছে, YouTube Gaming-এর অ্যাওয়ারনেসের দিক থেকে বিশ্বে ভারতের স্থান পঞ্চম এবং এনগেজমেন্টের দিক থেকে তৃতীয়। YouTube Gaming-এর সঙ্গে তুলনা টানলে অল্প পরিমাণ এনগেজমেন্ট রয়েছে Twitch বা Facebook Gaming প্ল্যাটফর্মেও। এর পরিমাণ ১২ শতাংশ।
অন্য দিকে ই-স্পোর্টসের ক্ষেত্রে ভারতে তেমন জনপ্রিয়তা বা পরিচিতি নেই। তবুও ই-স্পোর্টসের এনগেজেমেন্টের নিরিখে আমেরিকা বা ব্রিটেনের বাজারের থেকেও অনেকটা এগিয়ে ভারত। এমনই মনে করছেন গেমিং বিশেষজ্ঞরা।