বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করে। ফলে এই বিপুল সংখ্যক ক্ষতিকারক অ্যাপ ডাউনলোডের তথ্য বিস্ময়কর বই কি! তবে এই সব অ্যাপ স্মার্টফোন না কি ট্যাবে ডাউনলোড করা হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে ৬০০ মিলিয়নের সংখ্যা দেখে অনুমান করা যায়, দু’ধরনের ডিভাইস মিলিয়েই এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে।
advertisement
গুগল বারবার জানিয়েছে, ম্যালওয়্যার আটকানোকে তারা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর প্লে প্রোটেক্ট ফিচার এই ধরনের অ্যাপের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে সিকিউরিটি সংস্থাগুলির অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে যে, ক্ষতিকারক অ্যাপের মোকাবিলা করতে গেলে গুগলকে এখনও অনেকটাই খাটতে হবে। প্রসঙ্গত, স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ইউজারদের জন্য দুঃস্বপ্ন। এর ফলে অনেক গোপনীয় তথ্যও বেহাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বহু বছর পর বিস্ময়কর ত্রিগ্রহী যোগ! ৭ রাশির জীবনে বিরাট পরিবর্তন, কার কার ভাগ্যে আর্থিক লাভ!
ক্যাসপারস্কি বলছে, অ্যান্ড্রয়েডে ম্যালওয়্যারের সমস্যা বহু দিনের। তবে আইরেকর্ডার-এর মতো অ্যাপও রয়েছে। যা ঝুঁকি কমায়। গুগল অ্যাপ স্টোরেই পাওয়া যায়। যে কেউ ডাউনলোড করতে পারেন। ইদানীং ইউজাররা বিউটি স্লিমিং ফটো এডিটর, ফটো এফেক্ট এডিটর, জিআইএফ ক্যামেরা এডিটর প্রো-এর মতো অ্যাপ বেশি ব্যবহার করেন। প্রতারকরাও এটা জানে। হুবহু এই সব অ্যাপের ফিচার-সহ নতুন অ্যাপ নিয়ে আসে তারা। সঙ্গে থাকে ম্যালওয়্যার। যা ডাউনলোড করলেই বিপদ। এই তিনটি অ্যাপ ৬ লাখের বেশি ইন্সটল হয়েছে। যা রেকর্ড। এর মধ্যে অনেক ক্লোন অ্যাপও ছিল।
বাঁচার উপায়:
১. ইনস্টল করার আগে অ্যাপ কে ডেভেলপ করেছে, তা দেখে নিতে হবে। নামী সংস্থা না হলে ইন্সটল না করাই উচিত।
২. অ্যাপের নিচে স্ক্রোল করে ইউজারদের কমেন্ট পড়া উচিত। রেটিংও দেখে নিতে হবে। এর থেকে অ্যাপ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
৩. যদি ইউজাররা বলেন যে, অ্যাপ ব্যবহারের ফলে বেশি ব্যাটারি নষ্ট হচ্ছে কিংবা অন্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাহলে সেটা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।