আসলে অনেকেই বাড়িতে ফোন চার্জে বসাতে ভুলে যান। কিন্তু বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে যায়। তখন প্রচণ্ড ঝামেলায় পড়তে হয় তাঁদের। কিন্তু এই অভিনব জুতো আবিষ্কারের ফলে এবার থেকে আর ফোন চার্জে বসানোর ঝঞ্ঝাটও থাকবে না।
কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই জুতো? আসলে জুতোর মধ্যে থাকবে ছোট্ট একটা ডিভাইস। হাঁটার সময় এই ডিভাইসটি এনার্জি উৎপন্ন করবে। যা ফোন চার্জ করার সময় ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু ফোন চার্জই হবে না, তা পরিবেশের জন্যও উপযোগী বলে প্রমাণিত হবে। কারণ এটি এনার্জি পুনর্ব্যবহার করবে। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরের এই উদ্ভাবন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। অনেকেই এটিকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি বলে মনে করছেন। যা খুব শীঘ্রই বাজারে চলে আসবে বলে আশা তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুন- সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনা কি লাভ? অনেক টাকা বাঁচে, কী কী দেখে পুরনো AC কিনবেন!
এই অভিনব জুতোর আবিষ্কর্তা:
এই জুতোটি বানিয়েছে ফিলিপিনোর পড়ুয়া অ্যাঞ্জেলো ক্যাসিমিরো। এই জুতোর নাম দেওয়া হয়েছে Smart Shoe Insoles। যদি কেউ স্মার্ট জুতো পরে হাঁটেন, তাহলে হাঁটার সময় তা থেকে এনার্জি উৎপন্ন হয়। আর সেটি বিদ্যুতে পরিণত হয়। যখন কেউ হাঁটবেন অথবা দৌড়বেন, তখন তা থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে USB কেবিলের সাহায্যে ফোনের মতো ছোটখাটো গ্যাজেট চার্জ দেওয়া সম্ভব।
ইনসোলের মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে Piezoelectric উপাদান। হাঁটার সময় চাপের কারণে এনার্জি বা বিদ্যুৎ তৈরি করে এটি। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ওই ইনসোল পরে ২ ঘণ্টা মতো বাস্কেটবল খেলার পরে ফোনে যথেষ্ট চার্জ দেওয়া যাচ্ছে। আর সেই চার্জের পর মোটামুটি ১০ মিনিট ফোন চালু রাখা সম্ভব।
কাদের জন্য উপযোগী?
এই জুতোটির জন্য ক্যাসিমিরো একটি পোর্টেবল ফোন চার্জারও তৈরি করেছে। যা ব্যবহারকারী নিজের সঙ্গে সব সময় রাখতে পারবেন। বিশেষ করে যাঁরা জগিং করেন কিংবা পাহাড়ে চড়েন, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ। আসলে দুর্গম জায়গায় যেখানে চার্জ দেওয়ার সুবিধা কিংবা বিদ্যুৎ থাকে না, সেখানে এটি উপযুক্ত। আবার যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন, যেখানে বারবার পাওয়ার কাট হয়, সেখানকার মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারেন।