গুজরাতের এই গুণধর তরুণ নিজের শেখা সমস্ত স্কিল প্রয়োগ করে সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে সাইবার হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, পহেলগাঁও জঙ্গি হানার পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য যে সিঁদুর অভিযান চালানো হয়েছিল, তার পরে সাইবার সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে সে গুরুতর ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।
Anti-Terrorism Squad-এর মতে, ওই তরুণের নাম জসিম শাহনওয়াজ আনসারি। গুজরাতের নাদিয়াদের বাসিন্দা সে। আধিকারিকরা বলেন যে, আনসারি এবং অন্যান্য আরও কিশোর ৫০টিরও বেশি সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- কত দিন বাদে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলানো উচিত? ভাল মাইলেজ চাইলে জেনে রাখুন
কীভাবে চালানো হয়েছে এই সাইবার হানা?
১. ATS অফিসারদের মতে, আনসারি এবং তার সহযোগীরা একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ তৈরি করে। নাম দেয় AnonSec। মূলত DDoS (Distributed Denial of Service) হামলার পরিকল্পনার জন্যই সেটি তৈরি করেছিল তারা। অতিরিক্ত ট্র্যাফিসের মাধ্যমে ওই ওয়েবসাইটগুলিকে অবরুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিল তারা।
২. ATS অফিসাররা জেনেছেন যে, YouTube-এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে Python প্রোগ্রামিং শিখেছিল আনসারি। এরপর GitHub থেকে সাইবার হামলার টুল ডাউনলোড করে। DDoS অ্যাটাক করার জন্য Termux এবং Pydroid-এর মতো অ্যাপের মাধ্যমে এই টুলগুলি ব্যবহার করেছিল সে।
৩. checkhost.net-এর মাধ্যমে আক্রমণের সাফল্য নিশ্চিত করে আনসারি AnonSec গ্রুপে স্ক্রিনশট পোস্ট করে। সঙ্গে থাকে ভারত-বিরোধী বার্তা।
৪. এই AnonSec নামটি এসেছে পরবর্তী পর্যায়ে। আনসারি তার সমমনস্ক কিশোরদের নিয়ে EXPLOITXSEC চ্যানেল ব্যবহার করে সাইবার অ্যাটাক শুরু করে।
৫. এটিএস-এর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা তাদের আক্রমণের সাফল্য সম্পর্কে পোস্ট করে দেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছিল।
কারা চালাচ্ছিল এই সাইবার হামলা?
১. টাইমস অফ ইন্ডিয়া এক এটিএস আধিকারিকের বক্তব্য তুলে ধরেছে। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি আনসারি। ১৭-১৮ বছর বয়সী এই তরুণ দ্বাদশ শ্রেণীক ছাত্র।
২. অভিযুক্ত কি একাই কাজটি করেছে না কি বিদেশি কোনও শক্তির প্রভাবে এই কাজ করেছে, সেটা নিশ্চিত করে এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শুরু হয়েছে। টুল, সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল লিঙ্কের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
৩. তদন্তে জানা গিয়েছে, ভারতের সিঁদুর অভিযানের পরেই আনসারি এই হামলা চালিয়েছে। গত ৭ মে ২০২৫ তারিখে সরকারি ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করে শুরু হয় হামলা।
৪. গুজরাত এটিএস তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৪৩ এবং ৬৬এফ ধারার অধীনে এফআইআর দায়ের করেছে।