অ্যালোভেরা, তুলসি, কালমেঘ, ব্রাহ্মী, অশোকের মত হাজারো ওষধিগুণ সম্পন্ন গাছে ভরা রাজ্যের বনাঞ্চল। কিন্তু নিজেদের প্রয়োজনে গাছের পাতা বা শিকড় বা কখনও গোটা গাছটাই উপড়ে নেন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার মানুষ। কখনও আবার ফড়েরা খুব কম দামে কিনে চড়া দামে গাছ বিক্রি করেন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে।
বাজারে কত দাম রয়েছে ঔষধি গাছের দাম?
advertisement
অ্যালোভেরা- ১৫-৩৫ টাকা কেজি
তুলসি- ৭০-১৫০ টাকা কেজি
কালমেঘ- ৫০-১৫০ টাকা কেজি
ব্রাহ্মী- ৩০-১১০ টাকা কেজি
অশোক- ১০০ টাকা কেজি
দক্ষিণবঙ্গের ন'টি ফরেস্ট সার্কেলে রয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ হেক্টর জমি। ঝাড়গ্রামের জঙ্গলগুলিতে ওষধি গাছ চিহ্নিত ও সংরক্ষিত করে উদ্যান তৈরি করেছে রাজ্য। উদ্যান ঘিরে উপার্জনের রাস্তা পেয়েছেন আদিবাসীরা। এবার বনরক্ষা কমিটির নির্দিষ্ট উপার্জনের রাস্তা খুলে দিতে গাছ সংগ্রহ করবে রাজ্যের বনদফতর। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া উত্তর ও দক্ষিণ, পাঞ্চেত, পুরুলিয়া, কংসাবতী উত্তর ও দক্ষিণ থেকে ঔষধি গাছ সংগ্রহ করা হচ্ছে ৷ সেগুলি গোডাউনে নিয়ে আসা হবে ৷ এরপর সেখানেই ঔষধি গাছ শুকিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা হবে ৷ এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে ৷ এরপর বন উন্নয়ন নিগমের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি হবে সে সমস্ত ঔষধি ৷ এতে ব্যাপক আয় বাড়বে বনরক্ষা কমিটির ৷
আলিপুরদুয়ারে ইতিমধ্যে ভেষজ উদ্যান সংলগ্ন আয়ুষ হাসপাতাল চালু হয়েছে। পরের বছরই উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলিতেও এ ধরনের প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বনদফতর।