প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে প্রথম উইকেটের পকনের পর নেমে তেজস্বী জয়সওয়াল মাত্র ৩৭ বলে ৫১ রান করে ত্রিপুরার ইনিংস ভিত্তি দেন। তার ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি, যা দলের সর্বোচ্চ স্কোর। তার এই দারুণ পারফরম্যান্সে ত্রিপুরা ১৬৩/৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে ম্যাচের উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি দলটি। উত্তরাখণ্ডের অধিনায়ক কুনাল চাণ্ডেলার ৩৭ বলে ৫১ এবং পরবর্তীতে জগদীশ সুচিতের ৭ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষ বলে চার উইকেটে জয় পায় উত্তরাখণ্ড।
advertisement
তেজস্বী ও যশস্বীর গল্পটি ক্রিকেটের বাইরেও অনেক বেশি আবেগঘন। একই স্বপ্ন নিয়ে দুই ভাই মুম্বইয়ে এসেছিলেন ক্রিকেটার হওয়ার লক্ষ্যে, কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকটে একসঙ্গে দু’জনের কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বড় ভাই তেজস্বী নিজের স্বপ্ন ছেড়ে দিল্লিতে চাকরি নেন এবং ছোট ভাই যশস্বীর সাফল্যের পথে আর্থিক সহায়তা করতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ IND vs SA: চ্যাম্পিয়ন দল থেকে ৫ জন পেলেন সুযোগ! ভারতের টি-২০ দলে বড় চমক! জেনে নিন বিস্তারিত
পরবর্তীতে যশস্বী দেশের হয়ে সব ফরম্যাটে জায়গা করে নেওয়ার পর পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েন কমে আসে। আর তখনই তেজস্বী আবার নিজের স্বপ্নে ফিরে আসেন। ত্রিপুরার হয়ে তার এই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ইনিংস নয়, দুই ভাইয়ের ত্যাগ, ভালোবাসা এবং স্বপ্নপূরণের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
