চতুর্থ দিনে প্রোটিয়াদের সামনে ১৪৮ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান। রান অল্প হলেও দুরন্ত লড়াই করে পাক বোলাররা। একসময় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৯৯ রানে ৮ উইকেট। মহম্মদ আব্বাস পাকিস্তাবের হয়ে একাই ৬টি উইকেট নেন। একটা সময় মনে হয়েছিল পাকিস্তানে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেখানে চোয়াল চাপা লড়াই করে দেশকে দুরন্ত জয় এনে দেন মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাডা।
advertisement
এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ৭ জয়, ৩ হার, ১ ড্র, ৬৬.৬৭ জয়েক শতাংশ নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে সকলের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। অপরদিকে, ১৫ ম্যাচে ৯ জয়, ৪ হার, ২ ড্র, ৫৮.৮৯ জয়ের শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৭ ম্যাচে ৯ জয়, ৬ হার, ২ ড্র, ৫৫.৮৮ জয়ের শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথমবার ফাইনালে পৌছে সেলিব্রেশনে মাতে প্রোটিয়ারা। আরও একবার তাদের আইসিসি ট্রফি জয়ের খরা কাটানোর সুযোগ প্রোটিয়াদের কাছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গা পাকা হয়ে যাওয়ায় বাকি রয়েছে এর একটা জায়গা। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনও একজন যাবে ফাইনালে। ভারতকে সরাসরি জায়গা পাকা করতে হলে মেলবোর্ন ও সিডনিতে অজিদের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। আর সিরিজ ড্র হলে তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজেক দিকে। সেখানে শ্রীলঙ্কা জিতলে ভারতের সম্ভাবনা বাড়বে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত সিরিজ হারলে আর কোনও আশা থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ IND vs AUS: মেলবোর্নে আগুনে স্পেলে ৫ বড় রেকর্ড বুমরাহের! যা দেশে-বিদেশে কারও নেই!
উল্টোদিকে অস্ট্রেলিয়া ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র করলে বা ২-১ হারলেও আশা থাকবে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলে আর কোনও আশা থাকবে না ব্যাগি গ্রিনদের। তবে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলে সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে প্যাট কানিন্সের দল। তবে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র হলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেই ফাইনালে পৌছে যানে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।