এবছর মোট ১১টি ম্যাচে ৩১.৭০ গড় ও ১২২.৩৯ স্ট্রাইকরেটে ৩১৭ রান করেন ঋদ্ধি। ফাইনালে মাত্র ৫ রান করলেও এবার ৩টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর নামের পাশে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ভাল ইনিংস খেলে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে। মাঝে যখন শভমন গিল ফর্মে ছিলেন না, তখন দলকে টেনেছেন ঋদ্ধি। দেখি দিয়েছেন ৩৭ বছরেও তিনি ফিট।
advertisement
জেতার ক্ষিদে তাঁর মধ্যে আছে। আর সেই কথাটাই যেন ফুটে উঠল ম্যাচ শেষে তাঁর সংক্ষিপ্ত বার্তায়। এর আগে ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনাল জিতেছিলেন ঋদ্ধি। ২০১৪ সালের ফাইনালে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। তবে ঋদ্ধি ফের একবার ফাইনাল জয়ের স্বাদ ফিরে পেলেন ১১ বছর পর।
আর জিতেই তাঁর বক্তব্য, এটা আমার পঞ্চম ফাইনাল এবং আমি এই নিয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জিতলাম। কেউ কেউ নিলামের পরে বলেছিলেন যে আমাদের দল ভাল ছিল না। কিন্তু আমরা তাঁদের ভুল প্রমাণ করেছি। এই জয়ে সবাই অবদান রেখেছিল এবং এটি একটি দলগত পারফরম্যান্স। নিজের জীবনের পঞ্চম আইপিএল ফাইনালে দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতলেন ঋদ্ধিমান সাহা। আর জিতে উঠেই শান্ত পাপালি দৃঢ় কণ্ঠে নিন্দুকদের বার্তা দিলেন।
সাম্প্রতিককালে সময়টা ভাল যাচ্ছে না ঋদ্ধির। শান্ত স্বভাবের এই উইকেটরক্ষক বিগত কয়েক মাসে এত বিতর্কে জড়িয়েছেন যা তাঁর গোটা কেরিয়ারে হয়নি। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে রাহুল-সৌরভদের নিয়ে মন্তব্য, সিএবি-র সঙ্গে মন কষাকষি, বাংলা দলের থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার, সাংবাদিকের সঙ্গে ঝামেলা... তবে এত কিছুর মাঝেও রয়েছে এক সোনালি রেখা।
চ্যাম্পিয়ন হলেও মাটিতেই পা রাখছেন ঋদ্ধিমান। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মহম্মদ শামি। বাংলার দুই ক্রিকেটার আজ অনেক কিছুর জবাব দিলেন। শামি বললেন আমি জানি ঋদ্ধিমান সাহার যোগ্যতা এবং লড়াই করার ইচ্ছে। গত কুড়িটা বছর আমরা একে অপরকে চিনি। আমি খুব খুশি ওর সাফল্যে। তারা দুজনেই বাংলার ক্রিকেটার। অথচ তাদের কোনদিন হিসেবের মধ্যে ধরেনি কেকেআর। আজ আর পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে রাজি নয় দুজনেই।