টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই মারকাটারি ব্যাটিং করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার মেগ ল্যানিং ও শেফালি ভার্মা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন দুজন। মহিলা আইপিএলের প্রথম শতরানের পার্টনারশিপও করেন দুজনে। পূরণ করেন নিজেদের অর্ধশতরানও। দিল্লির দুই ওফেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কোনও জবাব ছিল না আরসিবি বোলাদের। ১৫০ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপও গড়ে ফেলেন শেফালি ভার্মা ও মেগ ল্যানিং। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রান প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লির। হেদার নাইটের বলে ব্যক্তিগত ৪৩ বলে ৭২ রান করে আউট হন মেগ ল্যানিং।
advertisement
জুটি ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মাও। একই ওভারে তিনিও হেদার নাইটের শিকার হন। ১৬৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৪৫ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিং করে আউট হন শেফালি। পরপর দুটি উইকেট হারালেও রানের গতিবেগ কমেনি দিল্লি ক্যাপিটালসের। মারিজ্যান কাপ ও জেমাইমা রড্রিগেজ মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। বিশেষ করে কাপ প্রথম থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। তাকে সঙ্গ দেন জেমাইমা। তাদের ব্যাটেই ২০০ পেরোয় দিল্লি। ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন কাপ ও জেমাইমা। শেষ পর্যন্ত ২২৩ রান করে দিল্লি। ৩৯ রানে কাপ ও ২২ রানে জেমাইমা অপরাজিত থাকেন। আরসিবির টার্গেট ২২৪।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল আরসিবি দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধনা ও সোফি ডিভাইন। ওভার পিছু ১০ রানের গতিতেই এগোচ্ছিল আরসিবি। প্রথম উইকেটে ৪১ রানের পার্টনারশিপ করেন স্মৃতি ও সোফি। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙতেই খেই হারিয়ে ফেলে ব্যাঙ্গালোর। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। একটা সময় একশো রানের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে স্মৃতি মন্ধনার দল। লজ্জার হারের ভ্রুকুটি দেখছিল আরসিবি।
আরও পড়ুনঃ মেসিকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এমবাপে, কী বললেন ফরাসী তারকা, হতবাক বিশ্ব
সেখান থেকে হেদার নাইট ও মেগান স্কাট কিছুটা লড়াই করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যায় দলকে। হেদার নাইট ও মেগান স্কাট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে আরসিবি। ৬০ রানের ম্যাচ জেতে দিল্লি। স্মৃতি মন্ধনার ৩৫ রান ছাড়া ৩৪ রান করেন হেদার নাইট, ৩১ রান করেন এলিস পেরি, ৩০ রান করেন মেগান স্কাট। আরসিবির হয়ে তারা নরিসের ৫ উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট নেন অ্যালাইস ক্যাপসে, ১টি উইকেট নেন শিখা পাণ্ডে।