মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ওপেন করেন হেইলি ম্যাথিউজ ও যস্তিকা ভাটিয়া। ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন যস্তিকা। ১৫ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। এরপর ম্যাথিউজের সঙ্গে ইনিংসের রাশ ধরেন ন্যাট স্কিভার। দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন ম্যাথিউজ ও স্কিভার। ৬৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ২৩ রান করে আউট হন ন্যাট স্কিভার।জুটি ভাঙতেই ৩১ বলে ৪৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে আউট হন ম্যাথিউজ। ৭৭ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট।
advertisement
এরপর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর ও অ্যামেলিয়া কের মিলে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা। বিদ্যুৎ গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন হরমনপ্রীত কউর। ৮৯ রানের পার্টনারশিপ করেন কউর ও কের। দলের ১৬৬ রানে বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন হরমনপ্রীত কউর। কিন্তু ৩০ বলে ৬৫ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মুম্বই অধিনায়ক। নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান অ্যামেলিয়া কের। ৮ বলে ১৫ রানের একটি ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলেন পুজা বস্ত্রকর। শেষ পর্যন্ত ৪৫ রানে অ্যামেলিয়া কের ও ৬ রানে অঙ্গ অপরাজিত থাকেন। ২০৭ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
আরও পড়ুনঃ শরীরে নেই সুতো টুকুও, নেট দুনিয়ায় ঝড় তুললেন 'বিশ্বকাপের প্রেমিকা' ইভানার ফটোশুট
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় গুজরাট জায়ান্টসকে। খাতা না খুলেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যান অধিনায়ক বেথ মুনি। এরপর ধস নামে গুজরাটের ব্যাটিং লাইনে। ন্যাট স্কিভার, অ্যামেলিয়া কের, সাইকা ঈশাক, ইসি ওঙ্গ সমৃদ্ধ মুম্বই বোলিং অ্যাটাকের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে গুজরাট টাইটানসের ব্যাটিং লাইন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ম্যাচে কোনও লড়াই দিতে পারেনি গুজরাট। ২৩ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে গুজরাট জায়ান্টস।
লজ্জাজনক স্কোরে অলআউট হওয়ার যখন প্রমাদ গুনছিল গুজরাট দল তখন ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন দয়ালান হেমলতা ও মানসি জোশী। হেমলতা দ্রুত গতিতে রান করেন। তারা দুজন মিলে ২৬ রানের একটা ছোট পার্টনারশিপ করেন। ৪৯ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে। ৬৪ রানের নবম উইকেট পড়েষ বেথ মুনি চোট লাগায় আর নামতে না পারায় শেষ হয় গুজরাটের ইনিংস। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন দয়ালান হেমলতা। ১৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।