এদিন ওপেনিংয়ে ৩১ রানের পার্টনারশিপ করেন হেইলি ম্যাথিউজ ও যস্তিকা ভাটিয়া। ২১ রান করে আউট হন যস্তিকা। এরপর ম্যাথিউজ ও ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ৩৮ রান জুটিতে যোগ করেন তারা। ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হন ম্যাথিউজ। হরমনপ্রীত কউরও এদিন বড় রান পাননি। একদিক থেকে ন্যাট স্কিভার নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। দলের ১০৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুম্বই অধিনায়ক।
advertisement
এরপর ন্যাট স্কিভার ও অ্যামেলিয়া কের এগিয়ে নিয়ে যান দলেক স্কোরবোর্ড। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই তারকা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ন্যাট স্কিভার। ৬০ রানের পার্টনারশিপ করে অবশেষে ভাঙে জুটি। ২৯ রান করে আউট হন অ্যামেলিয়া কের। শেষের দিকে ছোট হলেও ৪ বলে ১১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে মুম্বই। ৭২ রানে ন্যাট স্কিভার অপরাজিত থাকেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইউপি ওয়ারিয়র্স। মুম্বইয়ের বোলিং অ্যাটাকের সামনে এদিন দাঁড়াতেই পারেনি হেইলি ম্যাথিউজের দল। ২১ রানের মধ্যেই ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। দলের তিন প্রধান তারকা ব্যাটার হেইলি ম্যাথিউজ, তাহিলা ম্যাকগ্রা, গ্রেস হ্যারিস কেউই বড় রান করতে পারেননি এদিন। বিশেষ করে ইজি ওঙ্গ একাই ৪ উইকেট নিয়ে ইউপি দলের ব্যাটিং লাইনের কোমড় ভেঙে দেন। প্রতিযোগিতার প্রথম হ্যাটট্রিক করেন ইজি ওঙ্গ।
আরও পড়ুনঃ গল্ফ ছেড়ে কি এবার বাস্কেট বল, যৌবনের আগুনে নতুন কোর্টেও ঝড় তুলললেন মার্কিন গল্ফার
এদিন ইউপি ওয়ারিয়র্সের হয়ে একমাত্র লড়াই করেন কিরণ নভগির। ৪৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ন তিনি। কিন্তু অন্যকোনও ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। দীপ্তি শর্মা থেকে সোফি এক্লেস্টোন সকলেই ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় ইউপি ওয়ারিয়র্স। ইজি ওঙ্গের ৪ উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট নেন সাইকে ইশাক। একটি করে উইকেট নেন ন্যাট স্কিভার, হেইলি ম্যাথিউজ ও জিনতিমানি কালিতা। ৭২ রানে দুরন্ত জয়ে সৌজন্যে ২৬ তারিখ মেগা ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।