ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন মেগ ল্যানিং। এছাড়া শেষের দিকে রাধা যাদব ও শিখা পাণ্ডে দুজনেই ২৭ করে রান করেন। শেষ উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে দিল্লির মান বাঁচান রাধা ও শিখা। ১৩১ রানে পৌছায় দিল্লি। মুম্বইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন হেইলি ম্যাথিউজ ও ইজি ওঙ্গ। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় মুম্বই। ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ন্যাট স্কিভার। ৩৭ রান করেন হরমনপ্রীত কউর।
advertisement
ফাইনালে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ইজি ওঙ্গের তিনটি ফুলটস ফুলটসে দিল্লির তিন তারকা শেফালি বর্মা, অ্যালাই, ক্যাপসে ও জেমাইমা রড্রিগেজ ক্রিকেটারের সাজঘরে ফেরত যান। একদিক থেকে যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল দিল্লি। তখন অপরদিকে, একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন মারিজ্যান কাপ। দুজন মিলে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১৮ রান করেন কাপ।
ল্যানিও ও কাপের এই জুটি ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন মেগ ল্যানিংও। ৩৫ রান করেন তিনি। হেইলি ম্যাথিউজের স্পিনের ভেলকিতে ৭৯ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দিল্লি। শেষ উইকেট দিল্লি মান বাঁচান শিখা পাণ্ডে ও রাধা যাদব। দুজন মিলে ঝড়ো ব্যাটিং করেন। একের পর এক মারকাটারি শট খেলে ৫২ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১৭ বলে ২৭ রান করে শিখা পাণ্ডে ও ১২ বলে ২৭ রান করে রাধা যাদব অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করল দিল্লি ক্যাপিটালস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও। যতটা সহজে মুম্বই ম্যাচ জিতবে বলে মনে করেছিলেন ফ্যানেরা ততটা সহজ হতে দেয়নি দিল্লি। ২৩ রানের মধ্যে মুম্বইয়ের দুই ওপেনার হেইলি ম্যাথিউজ ও যস্তিকা ভাটিয়া আউট হয়ে যান। সেখান থেকে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট ও হরমনপ্রীত কউর। ঠান্ডা মাথায় দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান দুজনে। ধীর গতিতে হলেও মাঝে মধ্যে বাউন্ডারিও মারেন দুই তারকা ব্যাটার। নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন হরমনপ্রীত ও ন্যাট স্কিভার। রানের গতিবেগ যখ ন বাড়াচ্ছিলেন তখনই আরও একটি উইকেট হারান মুম্বই। দলের ৯৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে রান আউট হন হরমনপ্রীক কউর।
অধিনায়কের উইকেট পড়লেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান ন্যাট স্কিভার। কম রান নিয়েও লড়াই চালিয়ে যায় দিল্লির বোলাররা। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। তবে শেষ পূরণ করেন তিনি। শেষ ২ ওভারে মুম্বইয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। ন্যাট স্কিভারকে সঙ্গ দেন অ্যামেলিয়া কের। জেস জনাসনের ১৯ তম ওভারে ১৬ রাান নিয়ে মুম্বইকে জয়ের দোরগোরায় পৌছে দেন অ্যামেলিয়া কের। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই। ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যামেলিয়া কের।