নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ফাইনাল। ফলে আইসিসির তদারকিতে তৈরি হচ্ছে সাউদাম্পটনের উইকেট। তবে বাউন্স, স্পিড আর সুইং এর ককটেলে "আগুনে" পিচের পূর্বাভাস মিলেছে ইতিমধ্যে। পিচ নিয়ে আগামী ইঙ্গিত দিলেন এজেস বোলের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক সাইমন লি। তিনি জানান, "নিরপেক্ষ কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুতির দায়িত্ব ফলে চাপ একটু কম। আমরা দুই দলের কথা মাথায় রেখেই পিচ প্রস্তুত করছি। ফাইনাল খেলা দুটি দলই যাতে সমান সুবিধা পায় সেই কথা মাথায় রাখা হয়েছে পিচ তৈরির সময়। গতি, বাউন্স থাকবে। বল ক্যারি করবে। ব্যাটসম্যানদের কাছে দ্রুত বল পৌঁছাবে। ফলে পেসাররা যেমন সুবিধা পাবে তেমনই ব্যাটসম্যানরা ধৈর্য দেখাতে পারলে রান করা সম্ভব।"
advertisement
পিচ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গিয়ে লি বলেন, "মাথাব্যথা বলতে ইংল্যান্ডের খামখেয়ালি আবহাওয়া। যেকোনো মুহূর্তে আবহাওয়া বদলে যেতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির কোন পূর্বাভাস নেই। রোদ ঝলমলে আকাশ থাকার কথা। ফলে পিচ তরতাজা থাকবে। অযথা অতিরিক্ত রোলিংয়ের পথে হাঁটবো না। কারণ এর ফলে উইকেট ভেঙে যেতে পারে।"
ৱপেস সহায়ক উইকেট থাকলে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ নিউজিল্যান্ডের। কিউইরা এই ধরনের পিঠে খেলে অভ্যস্ত। তবে নিউজিল্যান্ড শিবির কোনভাবেই উইকেটকে অ্যাডভান্টেজ হিসেবে ধরছেনা। বিরাট কোহলির ব্রিগেডকে যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে দেখছেন উইলিয়ামসনরা। ভারতের বোলিং ইউনিট যথেষ্ট শক্তিশালী মেনে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বের সমস্ত পরিস্থিতি রান করার মতো ব্যাটসম্যান ভারতীয় দলে রয়েছে। তাই কিউই শিবির ফাইনালের আগে নিজেদের এগিয়ে রাখতে নারাজ। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিলেতে মাটিতে ১৯৯৯ সালের পর টেস্ট সিরিজ জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে কিউইদের এটা বলা বাহুল্য।
ERON ROY BURMAN