টি-২০ ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পর মাঝের এই বিরতিতে আরও সতেজ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গত ১৫-২০ বছরে আমি আদৌ বিশ্রাম নিইনি।” তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং আইপিএল মিলিয়ে গত দেড় দশকে তিনি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ সালে অভিষেকের পর থেকে তিনি ৫৫১টি ম্যাচ খেলেছেন, যা এই সময়কালের মধ্যে সর্বাধিক।
advertisement
কোহলির এমন পরিশ্রমের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন তার সতীর্থ রোহিত শর্মা, যিনি খেলেছেন ৪৭১টি ম্যাচ। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, যার ম্যাচ সংখ্যা ৪৩৫। এসব তথ্যই প্রমাণ করে কোহলি কতটা ধীর স্থির এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের হয়ে পারফর্ম করে গেছেন।
সাক্ষাৎকারে কোহলি আরও বলেন, তিনি এখন নিজেকে আগের থেকেও বেশি ফিট মনে করছেন। তাঁর মতে, মানসিকভাবে খেলার প্রতি ধারণা সবসময়ই ছিল, কিন্তু শারীরিক প্রস্তুতিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এখন। এই পর্যায়ে শরীর ফিট না থাকলে দক্ষতাও কাজে লাগানো যায় না বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, “যদি শরীর ফিট থাকে, তাহলে খেলাটা বোঝা সহজ হয়। আমি আমার জীবনটাই এমনভাবে পরিচালনা করি যাতে ফিটনেস বজায় থাকে।” অস্ট্রেলিয়ায় এসে নেট ও ফিল্ডিং সেশনে নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছেন বলেও জানান এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুনঃ ১৭৬.৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা! পার্থে বিশ্বের সবথেকে দ্রুত গতির বল করলেন স্টার্ক? ভেঙে গেল আখতারের রেকর্ড?
কোহলির এমন ইতিবাচক মনোভাব এবং আত্মবিশ্বাস ভারতীয় দলের জন্য ভালো বার্তা বহন করে। যদিও তার প্রত্যাবর্তনটা স্কোরবোর্ডে ভালো হয়নি, তবে মানসিক ও শারীরিকভাবে তৈরি থাকা এই তারকার কাছ থেকে ভবিষ্যতে বড় কিছু প্রত্যাশা করতেই পারে ক্রিকেটপ্রেমীরা।