রাজস্থান রয়্যালসের শেয়ার করার ভিডিওতে দেখা যায় ফ্র্যাঞ্চাইজির সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে রয়েছে বৈভব সূর্যংশী। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় এমন ইনিংসের পর প্রথম ফোন কাকে করতে চাও? জবাবে বৈভব বলেন,”প্রথম ফোন অবশ্যই বাবাকে করব।” ফোন ধরেই বাবাকে প্রণাম জানান বৈভব। তখন পাশের সাপোর্ট স্টাফ খুদে তারকার বাবার কাছে জানতে চান, কেমন লাগছে আপনার? জবাবে বৈভবের বাবা বলেন,”সব কিছু স্বপ্নের মত লাগছে। স্বপ্ন দেখছি মনে হচ্ছে। আপনি ৩-৪ মাসে ওকে যা তৈরি করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।”
advertisement
সেই সময় পাল্টা রাজস্থান রয়্যালসের সাপোর্ট স্টাফ বলেন,”আমার থেকেও আপনার পরিশ্রম অনেক বেশি। যা অনেক দিন ধরে আপনি করছেন। এটা তো সবে প্রথম শুরু। আপনার সন্তানের আরও অনেক কিছু করা বাকি। আপনাদের অনেক শুভেচ্ছা।” শেষে ফোন রাখার সময় বাবাকে ফের প্রণাম জানান বৈভব সূর্যবংশী। রুমে গিয়ে ফের কথা বলবেন বলে জানান। ফোন ধরা ও ছাড়ার সময় যে সংস্কারের পরিচয় দিয়েছেন বৈভব তা সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Vaibhav Suryavanshi: মাত্র ১৪ বছরে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি, ৫টি বিশ্বরেকর্ড নিজের নামে করলেন বৈভব সূর্যবংশী
প্রসঙ্গত, গুজরাতের দেওয়া ২১০ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৭ বলে ৫০ রান করেন তিনি। আর সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৩৫ বলে। আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন বৈভব সূর্যবংশী। একইসঙ্গে ক্রিস গেইলের পর আইপিএলের দ্বিতীয়দ্রুততম শতরানের মালিকও হলেন তিনি। এছাড়া শুধু আইপিএল নয় বিশ্বে যে কোনও ধরনের টি-২০ ক্রিকেচে সবথেকে কম বয়সে শতরান করলেন বৈভব সূর্যবংশী।