আর সেই সময়ই তাঁর নজরে আসেন দুই ভাই। ক্রুনাল আর হার্দিক পান্ডিয়া। কৃষ্ণকায়, ছিপছিপে শরীর । কিন্তু চোখেমুখে আগ্রাসন, একটা খিদে যেন ফুটে ফুটে বেরোচ্ছে। যেন দর্পের সুরে ঘোষণা করতে চাইছে: একটিবার সুযোগ দেওয়া হোক তাহলেই নিজেদের জাত চিনিয়ে দেবে তাঁরা।
সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের সুযোগ দিয়েছিলেন স্বয়ং নীতাই। বাকিটা তো সবারই জানা। প্রথমে রঞ্জিতে নজরে আসা, আইপিএলে নজর কাড়া আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে পাকাপাকিভাবে নজরে বসে যাওয়া। যদিও এই উল্কার গতিতে উত্থান একদিনে হয়নি। কীভাবে হয়েছিল, সেটাও এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। সম্প্রতি নীতা আম্বানি জানিয়েছেন দুই ভাইয়ের পর্দার আড়ালে থাকা সংগ্রামের কাহিনি। তিনি বলেন, খ্যাতির শিখর ছোঁয়ার আগে ক্রুনাল ও হার্দিক—দুজনেই দু’বেলা ম্যাগি খেয়ে দিন কাটাতেন। আর সেটাও এক বছর দু’বছর নয়। অর্থকষ্ট সামলে তিন বছর এভাবেই ম্যাগি পেটে ট্রেনিংয়ে ঘাম ঝরাতেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোহলির সামনে বড় বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুযোগ! হারাতে হবে একসঙ্গে ১০ জনকে
নীতার বক্তব্য, ‘আইপিএলে একটাই ধরাবাঁধা বাজেট থাকে। সমস্ত টিম একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করে। এই কারণে সব সময় নতুন তারকার খোঁজে আমাদের মাথা খাটাতে হয়। তাই আমি মুম্বইয়ের রঞ্জি ম্যাচ দেখতে ছুটে যেতাম। সেই ২০১৫ সাল থেকে। একদিন এক স্কাউট এসে আমায় জানায়, দুই ভাই দারুণ খেলছে। অচেনা, অজানা। কিন্তু যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিমান তাঁরা। একদিন তাদের সঙ্গে দেখা করি, কথা বলি। তারপর ক্রুনাল ও হার্দিক দুজনের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে সই করানোর সিদ্ধান্ত নিই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ড্রেসিং রুমে কথা বলার ফাঁকে দুজনে আমায় একদিন জানায়, কীভাবে তিন বছর স্রেফ ম্যাগি, নুডলস খেয়ে দিন কাটিয়েছেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের কাছে কোনও টাকা, সঞ্চয় কিচ্ছু ছিল না।‘
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বীরেন্দ্র সেওয়াগের এই রেকর্ড ২৩ বছর ধরে অটুট!এবার কি কেউ পারবে ভাঙতে?
এই প্রসঙ্গে, উঠে এসেছে জসপ্রীত বুমরাহর কথাও। যদিও প্রথম দর্শনে তাঁর হাবভাব মোটেও মুগ্ধ করেনি নীতাকে। তিনি বলেন, ‘জসপ্রীতকে দেখি যখন, তখন ওঁর শরীরী ভাষা দেখে অদ্ভুত লেগেছিল। মোটেও স্বাভাবিক ঠেকছিল না। কিন্তু স্কাউট আমায় বলে, বুমরাহর শরীর কথা না বললেও বল কথা বলে। আর তার প্রমাণ আমি খুব জলদি পেয়েছিলাম। বাকিটা তো সবারই জানা।‘