বর্তমান ক্রিকেটে ওয়াসিম আক্রিম কিন্তু জসপ্রিত বুমরাহকে বিশ্বের সেরা বোলার বলে মনে করেন। কিন্তু যখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বোলারের কথা ওঠে, আক্রম ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যালকম মার্শালকে তাঁর প্রিয় বলে জানান।
ওয়াসিম একটি সাক্ষাত্কারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বোলার সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি ম্যালকম মার্শালকে সর্বকালের সেরা বোলার বলেছেন। উল্লেখ্য, ম্যালকম মার্শালকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- আবার হারল পাকিস্তান! পিছিয়ে পড়েও হকির বড় মঞ্চে দুরমুশ করল ভারত
ম্যালকম মার্শাল ৮১টি টেস্ট খেলে ৩৭৬ টি উইকেট নিয়েছেন। ম্যালকম মার্শাল ১৩৬টি ওয়ানডেতে ১৫৭টি উইকেট নিয়েছেন। ম্যালকম মার্শাল বার্বাডোসের ব্রিজটাউন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের একজন নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন।
মার্শালের বাবা ছিলেন পুলিশকর্মী। তিনি মার্শালের ছোটবেলায় মারা যান। ক্রিকেটের সাথে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন দাদু। মার্শাল ১৯৭৭-৭৮ সালে বার্বাডোজের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করেন। তার প্রথম ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৭৭ রানে ৬ উইকেট নিতে সফল হন। এই পারফরম্যান্স দেখে তাকে ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন- KKR News: প্রবল চাপে কেকেআর অধিনায়ক! এবার কী করবেন শ্রেয়স আইয়ার
১৯৭৮-৭৯ ভারত সফরে তাঁর পারফরম্যান্স বিশেষ ভাল ছিল না। কিন্তু পরের ২ বছরে তিনি দলের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের নজরে আসেন। ম্যালকম মার্শাল একজন ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলারে পরিণত হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত পেস অ্যাটাকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন।
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা মার্শাল আবার জোয়েল গার্নার, কোর্টনি ওয়ালশ এবং কার্টলি অ্যামব্রোসের মতো অন্যান্য বোলারদের তুলনায় অনেক খাটো ছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯৮৩ সালের ভারত সফরের সময় মার্শাল তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন। সেবার ৩৩ উইকেট নিয়েছিলেন। মার্শালও একজন ভাল ব্যাটার ছিলেন। টেস্টে ১০টি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তিনি ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময় তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, ৬ মাসের মধ্যে তিনি মারা যান।