পরে অবশ্য সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দিয়েছিল সিওএ। ভাইচুংয়ের লড়াই ছিল পুরোটাই একা। তিনি লড়াইতে নেমেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে। সমর্থন ছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থার। তবে ভাইচুংয়ের নিজের রাজ্য সিকিমই তাঁকে সমর্থন করেননি। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রাজ্যের সমর্থন তিনি পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছিল।
advertisement
সেক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে হারার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। তবে যতক্ষণ না নির্বাচনের ফল বেরোচ্ছে, তত ক্ষণ কেউই চূড়ান্ত মন্তব্য করতে চাননি। কারণ, এ ধরনের নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে হিসাব উল্টে যেতে পারে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কল্যাণ একতরফা ভাবে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হবেন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম দিনই মনোনয়ন জমা দেন ভাইচুং।
ফলে কল্যাণের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিতেই তাঁকে সভাপতি হতে হত। সেই সম্ভাবনা অবশ্য অনেকটাই কম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে লড়ছেন কল্যাণ। তিনি নিজেও বিজেপি-র সক্রিয় সদস্য।
তাঁকে সমর্থন করছে অরুণাচল প্রদেশ, যেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রয়েছেন। ফলে রাজনৈতিক ভাবে দেশের শাসক দলের সমস্ত সমর্থন পাবেন তিনি। এই প্রথম বার এআইএফএফ-এর সভাপতি পদে বসতে চলেছেন কোনও প্রাক্তন ফুটবলার।
কল্যাণ ভারতীয় ফুটবলের অত্যন্ত স্বনামধন্য গোলকিপার। টাটা ফুটবল একাডেমি থেকে পাস করার পর মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, সালগাওকার, মাহিন্দ্রা, জেসিটির হয়ে সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন। জার্মানির ক্লাবে ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলেন। দুবার দেশের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন।
কল্যান জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি এবং সাফল্যের সঙ্গে মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করাই হবে তার দায়িত্ব। এছাড়াও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে ভবিষ্যতের জন্য।