এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নটরাজনের প্রশংসা করে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ লিখেছেন,"স্বপ্ন সত্যি হয় শুনেছি। নটরাজনের গল্পটা সত্যি স্বপ্নের মত। অনেক ক্রিকেটারকে উঠতে দেখেছি। কিন্তু এই ছেলেটার উত্থানের গল্পটা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। দারুণ খুশি এই তরুণ পেসারের জন্য। অনেক শুভেচ্ছা রইল।"
জীবনের প্রথম টেস্টে ব্রিসবেনে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে প্রথমদিন তিনি সবচেয়ে সফল। তুলে নিয়েছেন ওয়েড এবং শতরানকারী ব্যাটসম্যান লাবুশানেকে। ইয়র্কার কিং নাম হলেও প্রমাণ করছেন শুধু ইয়র্কার নয়, গুড লেন্থ, আউট সুইং,ইন সুইং, স্লো ডেলিভারি করার ক্ষেত্রেও তিনি সমান পারদর্শী। বলের গতি পরিবর্তন করতে পারেন বুদ্ধি করে। সবচেয়ে বড় কথা এদিন সকালে সাইনি চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পর সিরাজ এবং শার্দুলকে সঙ্গে নিয়ে নটরাজন যেভাবে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিলেন দেখে মনে হয়নি প্রথম টেস্ট খেলেছেন।
শেষ পাঁচ ওভারে নতুন বল নেওয়ার পর কয়েকটি বাউন্ডারি খেয়েছেন বটে, কিন্তু উইকেটে টিকে থাকা গ্রিন এবং পেনকে দ্বিতীয় দিন সকালে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাজি তিনি। অতীতে সুনীল গাভাসকর থেকে সচিন তেন্ডুলকর পর্যন্ত প্রশংসা করেছিলেন এই তরুণ পেসারের। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অধিকাংশের মত ছেলেটার মাথা ঠান্ডা, কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। প্রতিনিয়ত শেখার তাগিদ আছে। সাফল্যে যেমন উচ্ছ্বসিত হন না,তেমনই ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েন না। এটাই হয়তো তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি।