বল হাতে বেদম মার খাওয়ার পর ১৯তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে তিনি ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ছাড়েন। পরের তিন বলে তিন ছক্কা মেরে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত করেন অজি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সেই ম্যাচের পর দুদিন কেটে গেলেও হাসান আলির মুণ্ডুপাত করে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সমর্থকেরা। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ মনে করেন, সমর্থকদের এই ক্ষোভ যথেষ্ট যৌক্তিক।
advertisement
ভারতের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার সেহওয়াগ বলেছেন, 'পরাজিত হলে যে কেউই সাধারণত এমন আচরণই করে থাকে। সুতরাং, পাকিস্তানি সমর্থকেরাও হাসান আলিকে দোষারোপ করবে। ক্যাচটা মিস হওয়ার পর ওয়েড তিন বলে তিনটি ছক্কা হাকায় এবং অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়। আমার মনে হয় পাকিস্তানি জনগণের হাসান আলির প্রতি ক্ষোভটা যৌক্তিক। কিন্তু দিনের শেষে এই পাকিস্তান দলই যখন জিতছিল, তখন সবাই তাদের সমর্থন করছিল। তাই তারা যদি পরাজিত হয়, তাহলেও তাদের একইভাবে সমর্থন করাটাই কাম্য।'
পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকেই অবশ্য হাসান আলির পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাসান ক্যাচটা না ফেললে অন্য কিছু হতেও পারত, নাও হতে পারত। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম নিজেও ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাসান আলির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি দলের মধ্যে একতা বজায় রেখে কাউকে দোষারোপ না করার বার্তা দেন।
ফেভারিট হিসেবে নক আউটে প্রবেশ করলেও পাকিস্তানের এই পরাজয় নিঃসন্দেহে বাবর আজম, তার দল এবং পুরো পাকিস্তান সহজে ভুলতে পারবে না। প্রাক্তন পাকিস্তান কিংবদন্তি তারকা ওয়াসিম আক্রম পর্যন্ত পাশে দাঁড়িয়েছিলেন হাসানের। ক্রিকেট জীবনে একজন খেলোয়াড়ের এই ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলেছিলেন আক্রম।