টেস্ট দলের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন কোহলি (Virat Kohli)। অবাক হলেও এই ঘটনা সত্যি হতেই পারে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বিরাট কোহলি যদি ব্যর্থ হন তাহলে লাল বলের নেতৃত্বে তাঁর থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে চলেছে। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে বিরাট যদি টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান তাহলে বোর্ড কর্তারা বাধা দেবেন না। টি-টোয়েন্টি এক দিনের মতো সে ক্ষেত্রে বিরাটের বদলে টেস্টের নেতৃত্বেও রোহিত শর্মা চলে আসবেন। এই মুহূর্তে রোহিত বোর্ড কর্তাদের গুডবুকে রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- বাইরের কথায় কান নয়, দলের স্বার্থই আগে ! কড়া বার্তা অধিনায়ক রোহিতের
মুম্বইয়ের ব্যাটারের উপর আস্থা রয়েছে বোর্ড কর্তা এবং নির্বাচকদের। শোনা যাচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়ও নাকি রোহিতের পক্ষেই ভোট দিয়ে রেখেছেন। সেই কারণেই টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কের পদ অজিঙ্কা রাহানের বদলে রোহিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরেকটি তথ্য উঠে আসে বোর্ডের অন্দরমহল থেকেই।
বিসিসিআইয়ের বেশিরভাগ কর্তাদের ভারতীয় ক্রিকেট দলে স্পিট ক্যাপ্টেন্সিতে বিশ্বাস নেই। যদিও বোর্ড সভাপতি বলছেন, ধোনি এবং বিরাট আলাদা আলাদা ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন কোনও সমস্যা নেই। তবে বোর্ডের অন্দরে খবর, আচমকা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে বিরাটের সরে দাঁড়ানোর ঘটনাকে ভালোভাবে নেননি শীর্ষ কর্তারা। সেই সময় বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে বিরাটকে বুঝিয়েছিলেন দায়িত্ব না ছাড়ার জন্য। তবে সে কথা শোনেননি বিরাট। এত দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন কোহলি।
আরও পড়ুন-যৌতুক চাইতেই পাত্রকে গারদে পাঠালেন পাত্রী ! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড়
ইতিমধ্যে সৌরভ জানিয়েছেন, যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিতে রাজি ছিলেন না বিরাট তাই সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন আলাদা অধিনায়ক রাখা সম্ভব হয়নি। একদিনের নেতৃত্ব থেকে বিরাটকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রোহিতকে। যদিও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর বিরাট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি একদিনের এবং টেস্ট দলের অধিনায়কত্বে বাড়তি মনোনিবেশ করতে চান। তবে একদিনের দলের নেতৃত্ব থেকে বিরাটকে সরানোর পর থেকেই এখনও পর্যন্ত একটাও শব্দ উচ্চারণ করেননি প্রাক্তন কাপ্তান। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার বিরাটের পক্ষে দাঁড়িয়ে বোর্ডের সমালোচনা করেছেন। তবে এইসব নিয়ে ভাবছেন না বোর্ড কর্তারা।
ঈরণ রায় বর্মন