তাদের অবস্থান তালিকার তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পরাজয় মানেই প্রথম চার দলে থাকার রাস্তায় কাঁটা পড়া। এবারের আইপিএল শুরুর সময় বিরাট ও ধোনি, কারও মাথাতেই ছিল না নেতৃত্বের মুকুট। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার নেতা হিসেবে ক্রমাগত ব্যর্থতায় অধিনায়ক হিসেবে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ধোনির। এবং চলতি মরশুমে জয় শুরু করেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’।
advertisement
বিরাট আবার নেতৃত্বে নয়, রানে ফিরেছেন। তবে এবারের আসরে প্রথমবার হাফ-সেঞ্চুরি করলেও, জেতাতে পারেনি দলকে। বরং তাঁর মন্থর ইনিংস সমালোচিত হচ্ছে। অবশ্য একা বিরাট নন, অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসির ব্যাটেও ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। পাঁচ ইনিংসে দশের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি তিনি। ছন্দে দেখাচ্ছে না গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও।
সাত ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৫৭। তবে ফিনিশার হিসেবে দীনেশ কার্তিক ভরসা দিচ্ছেন দলকে। চাপের মুখে ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন শাহবাজ আহমেদও। আর শেষ ম্যাচে রজত পাতিদারকেও নির্ভরযোগ্য দেখিয়েছে। তুলনায় ডু’প্লেসির দলের বোলিং বিভাগে তীক্ষ্ণতা বেশি। মহম্মদ সিরাজ, জস হ্যাজলউড, হার্শল প্যাটেলরা তো রয়েইছেন।
লেগস্পিনার হাসারাঙ্গাও আঘাত হানছেন নিয়মিত। চেন্নাইয়ের বোলিং বিভাগে আবার ফিরতে পারেন ডোয়েন ব্র্যাভো। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের মতো ফিট হয়ে উঠেছেন মঈন আলিও। তবে তাঁরা প্রথম এগারোয় ফিরবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। অবশ্য, বাঁহাতি পেসার মুকেশ চৌধুরির মতো ব্র্যাভোর ইকনমি রেটও ভরসাযোগ্য নয়। তবে স্পিনার মহেশ থিকসানা ব্যাটসম্যানদের বারবার ফেলছেন অস্বস্তিতে।