হাতরাসের এই ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সমাজের সব শ্রেণির মানুষ ৷ এবার এই কাণ্ড নিয়ে ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরাট কোহলি ৷
বিরাট ট্যুইট করে লিখলেন, ‘হাতরাসে যা ঘটেছে, তা অমানবিক ও নৃসংশ ৷ আশা করছি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কালপ্রিটরা কঠোর সাজা পাবে ৷’
দিন পনেরো আগে তাঁকে প্রথমে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় সফদরজঙে। এদিন পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট ভিক্রান্ত বীর তাঁর মৃত্যুর খবর সুনিশ্চিত করেছন।
তিনিই জানাচ্ছেন, অপরাধীরা কেবল ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। ১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে যান ওই যুবতী। তার পর থেকে তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক পরিত্যক্ত জায়গায় তাঁর খোঁজ মেলে। অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন তিনি। শরীর ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। তাঁর জিভও ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করায় তিনি নিজের জিভে কামড় দিতে বাধ্য হন।
রবিবার ওই যুবতীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। তাঁকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানাতে থাকে মেয়েটির পরিবার। চন্দ্রশেখরও সেই দাবি তোলেন। ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলা হয়।
প্রসঙ্গত এই ঘটনার চার অভিযুক্তই গ্রেফতার হয়েছে। তাদের হাতরাস কোতোয়ালি থেকে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দলিত যুবতীর মৃত্যু নিয়ে বিএসপি মায়াবতীও এক হাত নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, "সমাজের একটা অংশ এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয়। বিএসপি চায়, সরকার এই বিষয়টায় নজর দিক।"
