ম্যাচের পর সন্ধ্যাবেলায় হোটেলে ফিরে অনুষ্কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন বিরাট। তখনও তাদের সন্তানের জন্ম হয়নি। হঠাৎ পেস্ট্রি খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন অনুষ্কা শর্মা। বিরাট যেহেতু বহুদিন ধরে বেঙ্গালুরু শহরের হয়ে খেলেন, তাই এখানকার বেশ কিছু নামী জায়গা এবং খাবার দোকান তার চেনা। সিকিউরিটি না নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিরাট।
advertisement
একটি বিশেষ টুপি এবং মাস্ক মুখে লাগিয়ে। থমাস বেকারির দূরত্ব হোটেল থেকে বেশি দূর ছিল না। হেঁটেই চলে যান বিরাট। দলের কাউকে না জানিয়ে। থমাস বেকারি ব্যস্ত দোকান। সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। বিরাট নিয়ে সময় নষ্ট না করে পছন্দের পেস্ট্রি চার পিস কেনেন। কিন্তু বুঝতে পারেন ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছেন যখন পেমেন্ট করার সময় আসে।
ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করলে তার নাম ফুটে উঠবে। সেটা দেখেই বুঝতে পারার সম্ভাবনা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সেদিন ভাগ্য সহায় ছিল। যিনি কাউন্টারে বসে বিল বানাচ্ছিলেন, তিনি কার্ড সোয়াপ করার সময় বিরাট কোহলির নাম খেয়াল করেননি। উপস্থিত মানুষজন কেউ বুঝতে পারেননি। নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন কোহলি।
এমনিতে মানুষের সঙ্গে মিশতে তার অসুবিধে নেই। কিন্তু ভিড় জমে গেলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারত। মোবাইলের স্পিড ডায়ালে ব্যক্তিগত সিকিউরিটির নম্বর অবশ্য রাখা ছিল। কিন্তু দরকার পড়েনি। নির্বিঘ্নে পেস্ট্রি কিনে হোটেলে ফিরে এসেছিলেন বিরাট কোহলি।
পরে অনুষ্কার সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ার করে দুজনেই খুব হেসেছিলেন। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন কিনা প্রশ্ন করলে, বিরাট বলেন পরিস্থিতি হলে করতেই পারি। সব সময় নিরাপত্তা ভাল লাগে না। সাধারণ মানুষের মতো ঘুরতে চাই। বিখ্যাত হওয়ার কি জ্বালা।