ওয়ান ডে অধিনায়কত্বের ব্যাটন হাতে পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচে নেমেই নতুন রেকর্ড গড়লেন বিরাট কোহলি ৷ রান তাড়া করে টিমকে জেতানোর ক্ষেত্রে বিরাটের এটি ছিল ১৫ নম্বর সেঞ্চুরি ৷ এর ফলে টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে ৷ ৩৫০ বা তার বেশি রান তাড়া করে ওয়ান ডে-তে এখনও পর্যন্ত তিন বার জিতেছে ভারত ৷ তিন বারই সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি ৷ রান তাড়া করতে নেমে সচিন এবং বিরাট দু’জনেরই ১৭টি করে সেঞ্চুরি আছে ৷ কিন্তু বিরাটের ১৭ টি সেঞ্চুরি এসেছে মাত্র ৯৬টি ইনিংসে ৷ সেখানে সচিনের লেগেছে ২৩২ টি ইনিংস ৷
advertisement
পেশোয়া হওয়ার পর মারাঠাদের প্রথম যুদ্ধ জিতিয়েই নিজের নতুন বাসায় গৃহপ্রবেশ করেছিলেন বাজিরাও। সেই শনিওয়ারওয়াড়ার ঐতিহ্যই পুণেতে ফিরে এল ক্রিকেট মাঠে। সৌজন্যে নেতা বিরাটের চওড়া ব্যাট। যার সামনে বামনের মত মনে হল ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া সাড়ে তিনশোর টার্গেট। উপমহাদেশের পাটা উইকেটে কোনও স্কোরেই বিমা করা যায় না। ৩ বছর আগেই জয়পুরে ৩৬২ তুলে অজি-বধ করেছিল ধোনির ভারত। তবু সাড়ে তিনশো মানেই যে অন্য রক্তচাপ। বিশেষত সেই চ্যালেঞ্জ যদি হয় কোনও ক্যাপ্টেনের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট! আধুনিক টি২০-র ধুন্ধুমার যুগের কথা মাথায় রাখলেও রবিবারের পুণেতে কোহলির ১০৫ বলে ১২২ উচ্চাঙ্গের ব্যাটিং উদাহরণ। ওয়ান-ডে কেরিয়ারের ২৭-তম সেঞ্চুরিটা বিরাটকে এজন্যও বাড়তি তৃপ্তি দেবে কারণ সেটা এল নেতার মুকুট মাথায় তোলার ম্যাচে।
তবে স্ট্রাইকরেটে এদিন কোহলিকেও ছাপিয়ে গেলেন ম্যাচের সেরা কেদার যাদব। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম তিন অঙ্কের রানের স্বাদ পাওয়া কেদার এদিন থামলেন ১২০ রানে। মাত্র ৭৬ বল খেলে। এই দুটো ইনিংস আর পঞ্চম উইকেটে ২০০-র পার্টনারশিপ ঢেকে দিল অনেক কপালের ভাঁজ। ওপেনাররা ফ্লপ। মিডলে যুবি-ধোনির ব্যর্থতাও ঢেকে দিল কোহলি-কেদারের কীর্তি। জাডেজা ১৩ রানে ফিরলেও শেষবেলায় অশ্বিনকে নিয়ে অপরাজিত ৪০ করে ভারতকে জিতিয়ে দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ১১ বল আর ৩ উইকেট হাতে রেখেই এল মধুর জয়।
রবিবাসরীয় দুপুরে কোহলি টসে জেতার পর ইংরেজরা সাড়ে তিনশো তুলে দেন মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার ব্যাটিং স্বর্গ মাঠে। ওপেনার জেসন রয় ৭৩ রানে ভিত গড়ে দেন। বাকি কাজটা সেরে দিয়েছিল রুটের ৭৮ আর স্টোকসের ৬২। বুমরা আর হার্দিক জোড়া উইকেট নেন। কিন্তু ৩ ম্যাচের একদিনের সিরিজে লিড নেওয়ার পথে পুণেতে অন্য স্টেটমেন্ট রাখলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। একেবারে হিন্দি সিনেমার সংলাপের ঢঙে। বাজিরাওয়ের তরোয়াল আর বিরাটের ব্যাটে এখন সন্দেহ করাটাই বোকামি।