কোহলিকে তিনি যতটা কাছ থেকে দেখেছেন, খুব বেশি মানুষ ততটা দেখেননি। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ইশান্ত। সেখানে তিনি জানিয়েছেন একবার দিল্লির হয়ে রঞ্জি খেলতে কলকাতায় এসেছিলেন তারা।
তখনও বিরাট কোহলি সিনিয়র জাতীয় দলে জায়গা পাননি। ইডেনে ম্যাচ হচ্ছিল বাংলার বিপক্ষে। খেলার আগের দিন পাঁচ তারা হোটেলে ভোর চারটে অবধি পার্টি করেছিলেন বিরাট কোহলি। নাচ, গান হোই হুল্লোড়, খাওয়া দাওয়া সব কিছু। কিন্তু মাত্র চার ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে বেলা দশটায় মাঠে ২৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এখান থেকেই বোঝা যায় বিরাট কোহলি বাকিদের থেকে কেন আলাদা।
advertisement
ইশান্ত মনে করেন খুব ছোট বয়সে বাবার মৃত্যু বিরাট কোহলির মন ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু ভেতর ভেতর তাকে কঠিন করে তুলেছিল জীবনে লড়াই করার জন্য। ২০১১ বিশ্বকাপেও বিরাট কোহলি অনেক কিছু খেয়ে ফেলতেন। কিন্তু তার বড় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় ২০১২ সালের পর থেকে। তখন নিয়মিত ফিটনেস চর্চা, কঠিন ডায়েট মেনে চলেন তিনি। আর মনের জোর চিরকাল এতটাই বেশি, বিরাট কোহলি কোনও কিছু আশা করেন না।
নিজের ওপর বিশ্বাস করেন ১০০%। সেটাই কারণ তার আজকের এই ব্যাপক সাফল্যের পেছনে। ইশান্ত জানিয়েছেন দিল্লিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে বিরাট কোহলি এক সময় বাটার চিকেন এবং ছলে বাটুরে প্রচুর খেত, সেই ছেলেটা ঠিক করে ফেলল তাকে পৃথিবীর এক নম্বর ব্যাটসম্যান হতে হবে। কষ্ট হলেও নিজের পছন্দের খাবার ১০ বছর খায়নি।
শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল সেরা হব। তার জন্য যা যা করার করেছে। শেষ আইপিএল ২০২৩ সালে ইশান্ত নিজে দিল্লির হয়ে খেলেছেন। কোহলির সঙ্গে দেখা হলে সেই পুরনো স্মৃতি নিয়ে দুজনে আলোচনা করেছেন এবং হাসাহাসি করেছেন। ইশান্ত জানিয়েছেন কোহলি যত বড়ই হয়ে যাক না কেন, দিল্লির ওই পার্টিবাজ ছেলেটার মন ভেতর থেকে পরিবর্তন হয়নি।