পাশাপাশি, সাম্প্রতিককালে বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারার পর এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। এই অবস্থায় ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করছেন, আপাতত দু’-তিন মাস বিরতি নেওয়া উচিত বিরাট কোহলির। তা হলে তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারবেন।
advertisement
ভারতের কোচ থাকাকালীন কোহলির সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্ক দুর্দান্ত ছিল। শাস্ত্রীর দ্বিতীয়বার কোচ হয়ে আসার পেছনে বিরাটের অবদান ছিল সবথেকে বেশি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হয়। তার দু’-তিন মাসের মধ্যেই তিন ফরম্যাটের নেতা হিসাবেই সরে যান কোহলিও। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারকে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, কোহলির উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। মানুষ সুযোগ খুঁজছে কখন ওকে আক্রমণ করবে।
আসলে কোনও ক্রিকেটার নিখুঁত হয় না। অনেককেই দেখেছি, অধিনায়কত্ব ছেড়ে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে। সুনীল গাভাসকার, সচিন তেন্ডুলকর, এমএস ধোনি রয়েছে এই তালিকায়। ধোনি ৯০টি টেস্ট খেলেছে। আরও ১০-১৫টি অনায়াসে খেলতে পারত। কিন্তু ও অবসর নিল। শাস্ত্রীর সংযোজন, কোহলিকে বুঝতে হবে, ওর ৩৩ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখনও পাঁচ বছর ক্রিকেট ওর মধ্যে বাকি রয়েছে।
যদি শান্ত থাকতে পারে, নিজের ব্যাটিংয়ে ফোকাস করতে পারে, ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে পারে এবং ক্রিকেট খেলাটা থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পারে, তা হলে এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে ওর। আমার মনে হয়, ও যদি দু’-তিন মাস ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়, যদি একটা সিরিজ না খেলে, তা হলেই অনেক খোলা মনে ফিরে আসতে পারবে। মাঝে মাঝে একটা মানসিক দূরত্ব তৈরি করা উচিত। পরিবার এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সময় কাটানো উচিত।
ক্রিকেট বড্ড একঘেয়ে হয়ে যায়। তাছাড়া এই কঠিন সময় বায়ো বাবেল খুব কষ্টকর একটা জিনিস। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তবে বিরাট কোহলি কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটা ওর ব্যাপার। বোর্ড সূত্রের খবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের অথবা টি টোয়েন্টির যেকোনো একটি ফরম্যাট থেকে বিরতি নেবেন কোহলি।