সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে আয়নার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। ছবির সঙ্গে লেখা, লড়াই সব সময় নিজের সঙ্গে। নিজের মনের মধ্যেই লড়াই করতে হচ্ছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। সেই কথাই কি তুলে ধরলেন তিনি? না কি বোঝাতে চাইলেন তার সঙ্গে লড়াই করার যোগ্যতা নেই অন্য কারো। পরিসংখ্যানের বিচারে ভারতের সর্বকালের সফল টেস্ট অধিনায়ক তিনি। কি বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা তিনি নিজেই জানেন।
advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর সেই ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। সাত বছর তাঁর অধিনায়কত্বে টেস্টে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছে ভারত। সীমিত ওভারের নেতৃত্ব থেকে আগেই সরে গিয়েছিলেন কোহলি। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কী অর্জন করতে চাই, সেটা সম্পর্কে সবার আগে বুঝে নিতে হবে। তারপরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি কিনা, সেটার দিকে নজর রাখতে হবে।
প্রত্যেকটা জিনিসের একটা নির্দিষ্ট সময় এবং মেয়াদ রয়েছে। সেটা সম্পর্কে নিজেকে জানতে হবে। ব্যাটার হিসেবে আপনি হয়তো দলকে অনেক বেশি সাহায্য করতে পারেন। আমিও সেটা ভেবেই নিজেকে নিয়ে গর্বিত। বিরাট আরও বলেছেন, নেতা হতে গেলে সব সময় যে অধিনায়ক হতে হবে তার কোনও মানে নেই। যখন এমএস ধোনি সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে দলে ছিল, তখন এমন নয় যে ও নেতা ছিল না। ওর থেকে প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ নিতাম।
জেতা-হারা আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু প্রতি দিন নিজেদের উন্নতি করা, ক্রমাগত উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়া, এটা স্বল্প মেয়াদে হয় না। যদি এটাকে নিজের ধর্ম হিসেবে পালন করা যায়, তা হলে খেলোয়াড় জীবনের বাইরেও এটা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে। বিরাট মনে করেন ভারতের অধিনায়ক যিনিই হোন, তার দায়িত্ব থাকে গোটা দলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার। অতীতেও সেটা হয়েছে, আগামী দিনেও তাই হবে।
তিনি মনে করেন একজন অধিনায়ক ততটাই ভাল, যতটা তার দল। তার আগেও বিভিন্ন ভারত অধিনায়ক দেশের জন্য চেষ্টা করেছেন। তিনিও তাই করতেন। ভবিষ্যৎ অধিনায়ক তাই করবে। যারা বলছেন তিনি অন্য অধিনায়কের অধীনে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন না, তাদের জন্য মুখ বন্ধ রাখাই সঠিক উপায়ে মনে করেন কিং কোহলি। দেশের থেকে অধিনায়ক বড় নন, পরিষ্কার জানাচ্ছেন তিনি।