খবর বলছে যে, দিনকয়েক আগেও বারাণসীতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন শিখর ধাওয়ান। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই খেলোয়াড় তাঁর আগ্রাসী ধরন এবং বেপরোয়া মনোভাবের জন্য গব্বর বলে ক্রিজে পরিচিত। সেই মনোভাব দেখা গেল স্থলের মতো জলেও এতটুকু ম্লান হয়নি। বারাণসী ভ্রমণের যে দু'টি ছবি তিনি শেয়ার করেছেন নিজের সেশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে, সেখানে তাঁকে গঙ্গার বুকে নৌকো নিয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বারাণসীতে গেলে অনেকেই নৌবিহার করে থাকেন, ওটা ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। বিতর্কটা দেখা দিল অন্য জায়গা থেকে।
advertisement
শীতে দেশের অন্য জায়গার মতো বারাণসীতেও এসেছে পরিযায়ী পাখিরা। তো, যে সাইবেরিয়ান বার্ডসরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছিল নদীর উপর দিয়ে, দেখা গিয়েছে যে গব্বর তাদের নিজে হাতে খাবার খাওয়াচ্ছেন। সেই মুহূর্তের ক্যাপশন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দিয়েছেন গব্বর 'হ্যাপিনেস ইজ ফিডিং বার্ডস' বলে! আর তার পরেই শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে শোরগোল- খেলোয়াড়ের কি প্রাণের মায়া নেই? দেশ এই মুহূর্তে বার্ড ফ্লুর আতঙ্কে জড়োসড়ো, আর তারই মাঝে তিনি কি না এলেন পাখিদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে!
সঙ্গত কারণেই তাই সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা নানা সতর্কবার্তায় যতটা সম্ভব সচেতন করার চেষ্টা করেছেন তাঁকে। সব বক্তব্যই ঘুরে-ফিরে গিয়েছে এক খাতে- গব্বর কি জানেন না যে দেশে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক ভাবে? সবাই তাঁকে এরকমটা ফের না করার পরামর্শও দিচ্ছেন।
আর এই সবের মাঝেই গব্বর তো গা বাঁচিয়ে চলে এলেন বারাণসী থেকে। কিন্তু প্রশাসনের কোপে পড়লেন গরিব দুই মাঝি। খবর বলছে যে বারাণসী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম মতে আপাতত কী ঘাট, কী নৌকো, পাখিদের খাওয়ানো বারণ! তাই নিয়ম ভাঙার অপরাধে ওই নৌকো আটক করে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে আপাতত তা রয়েছে পুলিশের জিম্মায়। কবে আবার ওই দুই মাঝি নৌকা চালানোর অনুমতি পাবেন, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়।
প্রশাসন যোগ্য পদক্ষেপ করেছে, সন্দেহ নেই! নিয়ম ভাঙলে শাস্তি তো পাওয়াই উচিৎ! কিন্তু ধাওয়ানও কি নিয়ম ভাঙেননি?
