উরুগুয়ের আক্রমণভাগে তরুণ ডারউইন নুনেজের সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারেজ। লিভারপুল তারকার গতির সঙ্গে প্রাক্তন বার্সেলোনা তারকার ক্ষুরধার ফিনিশিং কাল হতে পারে কোরিয়ান রক্ষণের জন্য। মিডফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ভালভার্দেও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। সেটাও দুশ্চিন্তা হতে পারে কোরিয়ানদের। টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা সন হিউং মিনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করবে রেডসরা।
মাঝমাঠে উলভস ফুটবলার হোয়াং হি-চ্যানকেও নিতে হবে দায়িত্ব। তবে মিনের সম্প্রতি ফিটনেস নিয়ে একটি সমস্যা ছিল।জাপানের বিপক্ষে জার্মানির হারের পর নিঃসন্দেহে আরও উজ্জীবিত এশিয়ার আরেক শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে সতর্ক হয়েই তাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে উরুগুয়ে। তবে সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিতে পারলে জয় ধরা দিতে পারে ল্যাতিন দলটির হাতেই।
advertisement
বিশ্বমঞ্চে সাফল্যের বিচারেও এগিয়ে থাকবে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। অন্যদিকে ২০০২ বিশ্বকাপে চতুর্থ হওয়া দক্ষিণ কোরিয়া শেষ দুই আসরে পার হতে পারেনি গ্রুপ পর্ব। দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা ফুটবলার সং হিউ মিন সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রথম থেকেই দলে ছিলেন। ৩৩ মিনিটের মাথায় সহজ তম সুযোগ মিস করে কোরিয়া।
হোয়াং দুর্দান্ত পেলেও গোলের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। দুদিক থেকে ক্রস ভাসিয়ে উরুগুয়ের ডিফেন্সে চাপ দিচ্ছিল কোরিয়া। কিন্তু অভিজ্ঞতা স্টপার গদিন এবং হিমেনেজ ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন। ৪৩ মিনিটে গদিনের হেড পোস্টে প্রতিহত না হলে লিড নিতে পারত উরুগুয়ে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ের কিছুক্ষণ পর সুয়ারেজকে তুলে কাভানিকে নিয়ে আসে উরুগুয়ে। আজ খুঁজে পাওয়া যায়নি সুয়ারেজকে। শেষ কুড়ি মিনিট উরুগুয়ে বেশ কিছু আক্রমণ তুলে আনছিল। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না। অন্যদিকে কোরিয়া গোল খাব না মানসিকতায় সাবধানে ফুটবল খেলল শেষ দিকটা। একেবারে শেষ দিকে ভ্যালভর্ডের শট আবার পোস্টে লাগল। এক মিনিট পর শহর সুযোগ মিস করলেন কোরিয়ার সং।