কিন্তু এরপর হ্যামস্ট্রিং চোটের জন্য ছিটকে যান। বাইরে বসতে হয় দীর্ঘদিন। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড সিরিজ হাতছাড়া হয়। কিন্তু এবার ইংল্যান্ড সফরে প্রথম তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ না পেলেও চতুর্থ টেস্টে ভাগ্য খুলে গেল। মহম্মদ শামির চোট জায়গা করে দিল বিধর্ব পেসারকে। সেই সুযোগ দুই হাতে লুফে নিলেন তিনি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রীর আস্থার মর্যাদা রাখলেন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক জো রুটের উইকেট নাড়িয়ে দিয়েছিলেন একটা স্বপ্নের ডেলিভারিতে। নিঃসন্দেহে এই টেস্ট ম্যাচের সেরা বল।
advertisement
গতি তার বরাবরের অস্ত্র। অভাব ছিল ধারাবাহিকতার। যে কারণে শামি, বুমরাদের থেকে সিনিয়ার হয়েও বাইরে বসতে হয়েছে বেশি। হয়তো নিজের ভেতর ভেতর আগুন জ্বালিয়েছিলেন। যাবতীয় সমালোচনার জবাব ২২ গজে দেবেন বলেই ঠিক করেছিলেন। সেই মতো দুটো ইনিংসে নিজেকে উজাড় করে দিলেন। গতি, সুইং, লাইন, লেন্থ - একেবারে নিখুঁত ছিলেন।
তার বলের আঘাতে কনুইয়ে চোট পেলেন ওভারটার্ন। মুখে বাউন্সার খেলেন রবিনসন। অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়ে গেলেন উমেশ নয় মাস পর ফিরে যা বল করেছেন, তাতে খুশি টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা পঞ্চম টেস্ট ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁকে বসানোর জায়গা নেই টিম ইন্ডিয়ার কাছে। উমেশকে দেখে উচ্ছ্বসিত সুনীল গাভাসকার, সঞ্জয় মঞ্জরেকারদের মত প্রাক্তনরা।
শামির অভাব যে তিনি বুঝতে দেননি, সেটা নিশ্চিত করলেন দুজনেই। যাঁকে নিয়ে আলোচনা, সেই উমেশ অবশ্য জানিয়ে দিলেন দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি। নয় মাস পর কামব্যাক সহজ ছিল না। কিন্তু নিজের ফিটনেস রুটিন এবং ট্রেনিং সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার ফলে এই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।